গৌড়ীয় মিশনের উদ্যোগে শুক্রবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে প্রভুপাদের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হল বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী এবং গৌড়ীয় মিশনের আচার্য ও সভাপতি ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী গোস্বামী মহারাজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরা গৌড়ীয় মিশনের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চিন্তাধারার ওপর লেখা দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘প্রভুপাদের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। তাঁর শিক্ষাগুলি বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনা গঠনে সহায়ক হয়েছে। ইউনেস্কো কর্তৃক এই বিশেষ দিনের স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে তাঁর বার্তা কেবল ভারতের নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির উদ্যোগে স্মারক মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রকাশ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচায়ক। প্রকৃত অগ্রগতি শুধু বস্তুগত নয়, আধ্যাত্মিক জাগরণের সঙ্গেও যুক্ত। প্রভুপাদের আদর্শ আমাদের সত্য, ন্যায় ও সার্বজনীন কল্যাণের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।’
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারত বরাবরই আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্রস্থল, কলকাতা তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বামী বিবেকানন্দ ও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের মতো মনীষীদের অবদান আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তি মজবুত করেছে। যদি আমরা নিজেদের ঐতিহ্য হারাই, তাহলে নিজেদেরও হারাব। সনাতন ধর্মের মূল আদর্শ হল সর্বজনীন কল্যাণ ও নৈতিক শক্তি। তাই আমাদের কর্তব্য হল এটিকে সংরক্ষণ করা এবং আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া।’