মনোজ মণ্ডল: মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ায় বন্ধ ঘর থেকে মা ও শিশুকন্যার দেহ উদ্ধানের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার স্বামী সুমন রায় একটি কারখানাতে কাজ করেন। ৭ বছর আগে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শুক্রবার কাজ থেকে ফিরে সুমন দেখেন বাড়ির দরজা বন্ধ। একাধিকবার তিনি ডাকাডাকি করেন স্ত্রী ও মেয়েকে। কিন্তু কেউ কোনও জবাব না দেওয়ায় তিনি তাঁর স্ত্রী প্রিয়াংকাকে ফোনও করেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের ডেকে দরজা খোলার ব্যবস্থা করেন সুমন।
সেই সময়ই ঘরের বিছানা থেকে ওই নাবালিকা এবং রান্নাঘর থেকে প্রিয়াঙ্কার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই মা ও মেয়েকে একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার মা ও মেয়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এখন মধুমিতা কি আদৌ আত্মহত্যা করেছেন? নাকি তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? উঠছে সেই প্রশ্ন।
কারণ স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার প্রিয়াঙ্কা প্রতিবেশীর থেকে নেওয়া ধারের টাকা শোধ করেন। সেই সময়েও তিনি হাসিখুশিই ছিলেন। কিন্তু তারপর কী এমন ঘটল পরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে? যে তাঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হতে হল? উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের দাবি, স্বামী সুমনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল প্রিয়াঙ্কার। সেই প্রিয়াঙ্কা তাঁর মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন! তা মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ায় শুক্রবার বিকালে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় মা-মেয়ের নিথর দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, ৫ বছরের মেয়ে প্রশংসার প্রাণহীন দেহ পড়েছিল বিছানার উপর। আর মা প্রিয়াঙ্কার দেহ উদ্ধার হয় রান্নাঘরের মেঝে থেকে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, খাবারে বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের। যদিও প্রিয়াঙ্কার গা থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, খাবারে বিষ মেশানোর পাশাপাশি ওই মহিলার গায়ে ঢালা হয়েছিল কেরোসিন তেলও।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭