• অশান্তির JU! ব্রাত্যর গাড়ি ভাঙচুর, অসুস্থ শিক্ষামন্ত্রী SSKM-এ...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ মার্চ ২০২৫
  • জি ২৪ ঘম্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বহুদিন পর ফের বিশৃঙ্খলার সাক্ষী যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বাম ছাত্রদের বিক্ষোভে তোলপাড় ক্যাম্পাস। পাল্টা আসরে নামে তৃণমূলপন্থী পড়ুয়ারাও। দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহতও হন। ব্রাত্য বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও কাজ হয়নি। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে সক্ষম হন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁকে শেপর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    এদিন তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বৈঠক শেষে বের হচ্ছিলেন ব্রাত্য। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম ছাত্র সংগঠনের ছাত্রীরা। ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। শিক্ষামন্ত্রী পড়য়াদের থামানোর চেষ্টা করলেও ছাত্রবিক্ষোভ থামেনি। একসময় ব্রাত্যর গাড়ির চাকার হাওয়াও খুলে দেওয়া হয়। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ব্রাত্য বসুকে বলতে শোনা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিস ডাকব না। ওদের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু তাঁর কথা শোনা হয়নি। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। গোলমাল এড়ানোর জন্য ব্রাত্য পাশে সরে গিয়ে এক জায়গায় বসেন।জানা যাচ্ছে ব্রাত্য বসুর কোমরে আঘাত লেগেছে।

    উল্লেখ্য, এদিন ওয়েবকুপার বৈঠকে যখন ব্রাত্য ঢুকছিলেন সেইসময় তাঁকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এখানেই শেষ নয় ওয়েবকুপার সভার মাঝেই ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর ব্রাত্য সভা থেকে হলে ফের একদফা বিক্ষোভ শুরু হয়। আহত হন দুই অধ্যাপক। একসময় ব্রাত্যর বাড়ির বনেটে উঠে পড়ে ছাত্ররা, তার গাড়িতে চড়থাপ্পড় মারা হয়। সবে মিলিয়ে  চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

    ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন,  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা করছি। একটা সংগঠনের সম্মেলন হচ্ছে। সেটা আটকানো হবে কেন? ব্রাত্য বসু যথেষ্ট সদিচ্ছা দেখিয়েছেন কথা বলার জন্য। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কথা বলতে আসলেন। এদের এত সাহস হয় কোথা থেকে? সিপিএম আমলে এরাই সবচেয়ে বেশি অসভ্যতা করেছে এই এস এফ আই। এককালে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে এই অসভ্যতা করেছিল। শিক্ষা মন্ত্রীর যতটা বলা যায়, ঠিক ততটাই বলেছেন। আমাদের অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখার্জিকে হেনস্থা করা হল। যারা যারা গায়ে হাত দিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে রাখা হোক। গায়ে হাত কেন দেবে? সরকারে আছি বলে, আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না। বানচাল করা হয়েছে যেভাবে এর পরে তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ দিতে আসবেন না। কমরেড মহম্মদ সেলিম, এর পর আপনাদের দূর্নীতি নিয়ে আপনাদের সভায় কেউ জবাব চাইতে গেলে তখন আবার বলবেন না। শিক্ষা মন্ত্রী অনেক সংযত ভূমিকা দেখিয়েছেন। আজকে অসভ্যতা হয়েছে। এগুলোই বামেরা করেছে। লাল ঝান্ডা মানেই হল অরাজকতা। মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী থাকবেই। তাদের নিয়ে যা যা আচরণ করেছেন এটা ঠিক নয়। তৃণমূল আজ সৌজন্য দেখিয়েছে। আপত্তিকর অবস্থায় ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এবার তৃণমূলের ছেলেরা যদি বামেদের সভায় পরিষেবা দিতে যায় তখন আবার কথা বলবেন না। গোটা পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রীবৃন্দ নজর রাখছেন। আবেগে আমাদের আঘাত লেগেছে। শিক্ষা মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)