কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। নিত্যদিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাবা। অশান্তির মাঝে বাবার হাঁসুয়ার কোপে জখম হয় ছেলে। তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার পরই বিপত্তি। কাঁচি হাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর হামলা চালায় সে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার হোগলা দাঁয়ের গ্রামের বাসিন্দা বাপন হালদার। তার বাবা বরুণ হালদার জানান, তার জেঠু স্বপন হালদার গত ৫ বছর ধরে বাপনের মানসিক চিকিৎসা করাচ্ছেন। কিন্তু সময়মতো ওষুধ খায় না বাপন। শুক্রবার সকালে বাড়িতে খুব অত্যাচার শুরু করেছিল। একসময় নিজের বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে যায়। ওই হাঁসুয়া নিয়ে টানাটানি শুরু হয় বাবা ও ছেলের। সেই সময় বাপনের গলায় কোপ লাগে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাপনকে অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীন আচমকা ওই যুবক কাঁচি হাতে চিকিৎসকের উপর হামলা চালায়। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ অমিত কুমার দা বলেন, “ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন সেটা প্রথমে বোঝা যায়নি। তবে আহত যে-ই হোক না কেন, তার চিকিৎসা হবে। সে কারণে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। হঠাৎ করে কর্তব্যরত চিকিৎসককে কাঁচি চালিয়ে দেবে, তা কেউ বুঝতে পারেননি।” ওই চিকিৎসকের ক্ষতস্থানে সেলাই করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।