• 'হাওয়া খুলে দিল…', যাদবপুরে গিয়ে কোথায় ব্যথা পেলেন ব্রাত্য বসু? মুখোমুখি SFI-TMC
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ মার্চ ২০২৫
  • সময়: শনিবার বিকেল ৪টের কিছু পরে। 

    স্থান: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। 

    একটি নীল বাতিযুক্ত গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। তার মধ্য়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই গাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর। সামনের কাঁচে চিড় ধরল। গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়লেন একাধিক আন্দোলনকারী। একজন শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির সামনে এই ধরনের বিক্ষোভ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে এভাবে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল সেই প্রশ্নও উঠছে। 

    ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, আমার সিকিউরিটি আমাকে টেনে পেছনে নিয়ে গেল। আমার পেছনের সিকিউরিটির গাড়িও ছিল। সেই গাড়ির টায়ারের হাওয়া খুলে দিল। 

    এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এসএফআই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ফেরার জন্য় বের হতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। 

    তুমুল বিক্ষোভ। মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর। এরপর সোজা এসএসকেএমে চলে যান মন্ত্রী। সেখানে মন্ত্রীকে পরীক্ষা করে দেখেন চিকিৎসকরা। 

    সূত্রের খবর, সেই প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়েছে, বিকেল ৪টে ২০মিনিট নাগাদ ইঁট ছুঁড়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়, গাড়ির ভাঙা কাঁচ তাঁর বুকে লেগেছে। 

    এসএসকেএমের চিকিৎসক তাঁর নোটে লিখেছেন, পেসেন্ট সামনের থেকে পেছনে টানার সময় তাঁর হাতে লেগেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। 

    তবে বাইরের কোনও আঘাত নেই। বাহুতে অল্প ব্যথা রয়েছে। বাহু ও কবচিতে এক্স রে করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। ব্যথানাশক কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। 

    এদিকে ঘটনার পরেই যাদবপুর থানার সামনে তুমুল অশান্তি। সুকান্ত সেতুতে মিছিল বের করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে যাদবপুর থানা মোড়ের সামনে একদিকে তৃণমূল ও অপর দিকে বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ।

    এক তৃণমূল নেতা বলেন, যারা ৬ শতাংশ ভোট পায় না, তারা ৫০ শতাংশকে মারতে আসছে। তারপরেও আমরা কিছু বলিনি। যাদবপুরে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ রাখা যাবে। যারা শিক্ষামন্ত্রীর গায়ে হাত তোলার সাহস দেখাচ্ছেন তাদের বলছি লক্ষণরেখা পার করবেন না।

    সায়নী ঘোষ বলেন, যারা ২৯৪টি সিটের মধ্য়ে একটি সিট জিততে পারে না তারা ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ২০২৬ সালে ফের খেলা হবে।  

     মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, যদি মনে হয় এক মিনিট সময় লাগবে যাদবপুর দখল করতে। তোমরা ছাত্র গুণ্ডামি তোমরা করো না। যাদবপুরের মানুষ বার বার তোমাদের থাপ্পড় মেরেছে। প্রতিবাদ চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চলবে। এত বড় হিম্মত আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর করল। আমাদের আগুন নিয়ে খেলবেন না কমরেড। তবে নেত্রী আমাদের সহনশীল হতে শিখিয়েছেন। আগামী কাল থেকে রাস্তায় নামার লড়াই। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)