যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভে একেবারে উত্তাল পরিস্থিতি। তুমুল বিক্ষোভ। এসএফআইয়ের বিক্ষোভের জেরে একেবারে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে চলে ভাঙচুর। এসবের মধ্য়েই যাদবপুরে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। কার্যত আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে সেই অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষাবন্ধুরা। এরপর সেই অফিসে তাণ্ডব চালানো হয়।
এমনকী অফিসের ভেতর থেকে জিনিসপত্র বাইরে বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে যাদবপুরের নিরাপত্তারক্ষীরা অবশ্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কারা করেছে বলতে পারব না। আমরা তখন অন্য জায়গায় ডিউটিতে ছিলাম। তখনই এসব করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছিল যাদবপুরে। আর সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই সময় তিনি বের হওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁর গাড়ির সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। তুমুল বিক্ষোভ। আর সেই বিক্ষোভ এমন জায়গায় যায় যে একজন একেবারে গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়েন। গাড়িতে চলে ভাঙচুর। কোনওরকমে গাড়ি করে এলাকা ছাড়েন মন্ত্রী। একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থা।
এসএফআইয়ের অভিযোগ এই সন্ত্রাসের পেছনে রয়েছে তৃণমূলের হাতে। তার জেরে আমাদের কর্মী সমর্থকরা আহত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পরে সোজা সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে এসএসকেএমে চলে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর প্রয়োজনীয় ‘পরীক্ষার’ ব্যবস্থা করেন। এরপরই এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ব্রাত্য বসুকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
ব্রাত্য বসু বলেন, আমি আবার বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলকে আটকানো যাবে না। আবার কনভেনশন করব। যাদবপুরের ভেতরে ছাত্রদের Ragging করা হয়। মেরে দেওয়া হয়। আমাকে অবশ্য় আটকানো হয়নি। আমি বসতে রাজি আছি। যেভাবে অধ্য়াপক, অধ্যাপিকারদের উপর নিগ্রহ করা হল, তা মানা যায় না।
তিনি বলেন, শারীরিকভাবে ঠিক আছি। আমার অধ্যাপক, অধ্য়াপিকাদের খোঁজ নেই। তাঁদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। সিকিউরিটিদের ধরে মেরেছে। ওরা নৈরাজ্য চাইছে। এসএফআই আলাদা করে দেখা করেছে। তাদের কেউ ছিল কি না বলতে পারব না। ওয়েবকুপা যাদবপুর থানায় গিয়েছে। তৃণমূল যাদবপুরে যেতে পারবে না? বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর করতে পারবেন? আমি দলের একজন কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শান্তিতে বিশ্বাস করেন। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। ওরা নৈরাজ্য চাইছেন।
কুণাল ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল।
এদিকে যাদবপুরের এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে।