• ‘গাড়ি দিয়ে ধাক্কা’, অভিযোগ পড়ুয়ার, পাল্টা মারধরের নালিশ অধ্যাপকের
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৫
  • ছাত্র সংঘর্ষে ধুন্ধুমার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্যদের মারধর এবং শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার ধাক্কায় এক ছাত্র আহত হয়েছেন বলেও পড়ুয়াদের একাংশের পাল্টা দাবি।

    আহত ছাত্রের নাম ইন্দ্রানুজ রায়। ওই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি বক্তব্যের ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে (এই সময় অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। সেখানে দেখা যাচ্ছে মাথা ও বাঁ চোখে ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন ওই ছাত্র। তিনি বলছেন, ‘আজ ত্রিপাক্ষিক মিটিংয়ে জন্য আমরা ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলছিলাম। আমি নিজেও ছিলাম ওই কথা বলার সময়ে। উনি রাজি হয়েছিলেন যে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসবেন। তখন তৃণমূলের বাকিরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে, মারপিট করে। ব্রাত্য বসুকে গাড়িতে তুলে দেয়। আমরা বলতে থাকি যে স্যর কথা বলব। ওই সময় গাড়ির পিকআপ বাড়তে থাকে। আমরা বলতে থাকি গাড়িটা থামান। কিন্তু থামেনি, স্পিড বাড়িয়ে দেয়। আমরা ছিটকে পড়ি। মাথা বাঁচানোর জন্য মাথাটা ঘুরিয়ে নিই। ওই সময়েই চোখের উপর দিয়ে এবং বাঁ পায়ের চেটোর উপর দিয়ে চাকাটা যায়।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলছিল। অগণতান্ত্রিক ভাবে ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। একজন শিক্ষক মদ্যপ অবস্থায় এক ছাত্রীর গায়ে হাত তুলেছেন।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ। আপাতত কেপিসিতে তাঁকে ভর্তি করা হলেও এসএসকেএমের সিসিইউ-এ স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইন্দ্রানুজের সহপাঠীদের দাবি, তাঁর মাথার এক পাশ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই আপাতত ইমার্জেন্সি অবজ়ারভেশনে রাখা হয়েছে ওই ছাত্রকে।

    এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। গোটা ঘটনায় আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। এ দিন ওয়েবকুপার বার্ষিক সভা ছিল, সেখানে বহু প্রতিনিধি এসেছিলেন। ওমপ্রকাশ বলেন, ‘আমরা ৩৬ জন বর্তমান ও প্রাক্তন উপাচার্য আমন্ত্রিত ছিলাম। ওই সভায় বারবার করে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কিছু ছাত্রছাত্রীরা সভামঞ্চের দিকে ধাওয়া করছিল। বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা হচ্ছিল। সভা শেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সামনেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। অসম্মানজনক কথা বলা হয়েছিল ওঁর প্রতি। ওঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। উনি ধৈর্য দেখিয়েছেন।’ শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পরে বাকি অধ্যাপকদের উপর হামলা করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলছেন, ‘আমায় আক্রমণ করা হয়েছিল, নিগ্রহ করা হয়েছিল। সামান্য চোটও পেয়েছি। আমাকে বিশেষ করে টার্গেট করেছিল কিছু পড়ুয়া। আজকের আক্রমণের নিন্দা জানাই।’

  • Link to this news (এই সময়)