সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এ বার নয়া মোড়। নতুন করে চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ ইভটিজ়িংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, তাঁর মা তনুশ্রী আবারও তুলে আনলেন সেই অভিযোগই। ইভটিজ়িং-সহ একাধিক বিষয় উঠে এসেছে তাঁর দায়ের করা অভিযোগপত্রে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের পানাগড়ে মৃত্যু হয় চন্দননগরের নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। ঘটনার পর দিন সুতন্দ্রার গাড়ির চালক ও সহযাত্রীরা বার বার সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ঘটনার রাতে সুতন্দ্রাকে লক্ষ্য করে নানা কুকথা ভেসে আসছিল অভিযুক্ত সাদা গাড়ি থেকে। তবে সুতন্দ্রার সঙ্গে গাড়িতে থাকা যুবক মিন্টু মণ্ডল কাঁকসা থানায় যে লিখিত অভিযোগ করেন, সেই অভিযোগপত্রে কোথাও ইভটিজ়িংয়ের কথা লেখেননি।
এমনকী গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাও সুর বদলাম। ঘটনার চার দিনের মাথায় সাদা গাড়ির মালিক তথা ঘটনার দিন যিনি গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন সেই বাবলু যাদব গ্রেপ্তার হওয়ার পরই ভোল বদলে যায় রাজদেও-র। যে রাজদেও প্রথমে গাড়ি ধাওয়া করার কথা বলেছিলেন, তিনিই শুক্রবার দাবি করেন, ‘কোনও ইভটিজি়ংয়ের ঘটনা ঘটেনি।’ এমনকী তিনি দাবি করেন, সুতন্দ্রাই তাঁকে সাদা গাড়িটি ধাওয়া করতে বলেছিলেন।
শনিবার সুতন্দ্রার মা চন্দননগর থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেন, সেখানে লেখেন, ‘আমি যাওয়ার আগেই মেয়ের সহযাত্রী মিন্টু মণ্ডল কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেই অভিযোগ পড়ে জানতে পারি, লিখিত অভিযোগে কোনও ইভটিজ়িংয়ের উল্লেখ নেই। তবে আমি নিশ্চিত, ঘাতক সাদা গাড়ির চালক ও যাত্রীরা মদ্যপই ছিলেন। আমি চাই আমার অভিযোগের ভিত্তিতে ইভটিজ়িং, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো ও ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক।’