অটো চালকের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ। বারাসতে অসুস্থ মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল চালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই মহিলা ক্যান্সারের রোগী। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ।
কী ঘটেছিল? শনিবার দুপুরে বারাসত হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেখান থেকে মহেশ্বরপুরে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে এক শিশুও ছিল। চাঁপাডালি মোড় থেকে ওই মহিলা অটোয় ওঠার পরই বাচ্চার ভাড়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়।
টাকা কম থাকায় ওই মহিলা বলেন, বাচ্চাকে কোলে নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু অটো চালক তাতে রাজি হননি। এর পরই কথায় কথায় তুমুল বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, আরও এক জন অটোচালক সেখানে হাজির হন। ওই মহিলার গায়ে হাত তোলেন।
ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। বলেন, ‘আমি একজন ক্যান্সারের রোগী। আমি এর শাস্তি চাই। আমাকে ঘুসি মেরেছে। আঙুলে এমন ভাবে মেরেছে, রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে।’
এর পরই অটো থেকে নেমে সোজা বারাসত থানায় যান অভিযোগকারী মহিলা। এ দিকে এই চিৎকার, অশান্তির কারণে অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
অভিযুক্ত অটো চালক সুকুমার হালদার চাঁপাডালির মোড় থেকে মহেশ্বরপুর রুটে গাড়ি চালান। তাঁর পাল্টা দাবি, তাঁর আগের গাড়ির চালকের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। ওই মহিলা অটো থেকে নেমে যান। কিন্তু এর পর অটো চালকদের নামে আজে বাজে কথা বলছিলেন। অভিযুক্ত অটো চালক বলেন, ‘আমি তাঁর প্রতিবাদ করায় আমাকে গালাগালি করেন। এর পরই সকলের সঙ্গে ওনার হাতাহাতি হয়।’