তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের ওয়েবকুপার বৈঠকে হাজির হওয়ার জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। বৈঠক শুরুর আগেও একপ্রস্ত বিক্ষোভ চলে পড়ুয়াদের। তবে তৃণমূলের পড়ুয়ারা অন্য রাস্তা দিয়ে ব্রাত্যকে বৈঠক পর্যন্ত পৌঁছে দেন। ওপেন এয়ার থিয়েটারে চলছিল বৈঠক।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বেরোতে গেলে, পরিস্থিতি জটিল হয় সেখানেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ভাঙচুর চলে ব্রাত্যর গাড়িতে। সঙ্গে থাকা দুটি পাইলট কারেও চলে ভাঙচুর। তিনি গাড়ি থেকে নেমে উত্তেজিত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। উলটে আরও জটিল হয়। শুধু বিক্ষভ ব্রাত্যকে ঘিরে নয়। পড়ুয়াদের হাতে নিগৃহীত ওমপ্রকাশ মিশ্র। ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের বচসাও হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে আহত এক পড়ুয়া। ভাঙচুর চলল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমতির অফিস।
ঘটনায় আহত হন ব্রাত্য বসু নিজেও। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে ব্রাত্যর সাফ বক্তব্য, 'গোটা রাজ্য দেখেছে আজ কারা নৈরাজ্য চালিয়েছে, আর কারা ধৈর্য নিয়ে বসেছিল।'
কিন্তু এই ঘটনা ঘটাল কারা? ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল বাম-অতিবামের। কী বলছে এসএফআই? পড়ুয়াদের দাবি, এসএফআই আগেই জানিয়েছিল, পয়লা মার্চ শিক্ষামন্ত্রী যাদবপুরে এলে, নির্বাচনের দাবিতে তারা বৈঠকের অনুমতি চেয়েছিল। নতুন বিবৃতিতেও স্পষ্ট জানানো হয়, কোনওপ্রকার বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যাবে না। কেবল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জমায়েত চলবে এসএফআই-এর। দু’ জন গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যায়। অভিযোগ, অতিবামেরা আচমকা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করে। তাদের বক্তব্য, এসএফআই কোনওভাবেই এই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরিতে যুক্ত নয়।
অতিবাম সংগঠনগুলির পড়ুয়াদের আবার দাবি, তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একগুচ্ছ দাবিতে, তার মাঝেই ওয়েবকুপার সদস্যরা আক্রমণ করেন পড়ুয়াদের। ব্রাত্য বসুকে হামলার ঘটনায়, ফের উঠে আসছে বছর ছয়ের আগের ঘটনা। যখন যাদবপুরে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।