আজকাল ওয়েবডেস্ক: মালবাজারের এক ব্যবসায়ী যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য বাড়ছে। শুক্রবার রাতে মালবাজারের পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে বিশ্বজিৎ দত্ত (২৫) নামের এই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করে শনিবার মাল থানার পুলিশ অল্পবয়সী এক গৃহবধূ-সহ পাঁচজনকে আটক করে। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা এখনও পরিষ্কার নয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওই যুবকের সঙ্গে আটক গৃহবধূর ২১ মিনিট ফোনে কথা হয়েছিল। ফলে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়কেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
শুক্রবার রাতে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মাল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে মালবাজার শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশ্বজিতকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক টোটো চালক। জাতীয় সড়ক ধরে আসার সময় যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে বিশ্বজিতের বাইক রাস্তার পাশে দাঁড় করানো ছিল। কাছে গিয়ে টোটো চালক দেখেন, যাত্রী প্রতীক্ষায়ের ভেতর বিশ্বজিৎ পড়ে রয়েছেন। টোটো চালকের পরিচিত হওয়ার ফলে কয়েকজনের সহায়তায় তিনি তাঁকে তুলে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্বজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিশ্বজিতের বাবা সুবোধ দত্তের মাল বাজারে দোকান রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত বিশ্বজিৎ বাবার সঙ্গে দোকানেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর বাইক নিয়ে চালসার উদ্দেশে বেরিয়ে যান।
যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে যখন তাঁকে পাওয়া যায় তখন তাঁর নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সেই সময় তাঁর বাইক, মোবাইল, মানিব্যাগ, ঘড়ি সবই অক্ষত ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়। মৃত যুবকের দাদা সুজিত দত্তের অভিযোগ, চালসার এক গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে বিশ্বজিৎকে খুন করেছে। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে মাল থানার পুলিশ।