মিল্টন সেন: মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঘটনার দিন দুই গাড়িতে থাকা প্রত্যেকে দায়ী। এই মর্মে শনিবার চন্দননগর থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতা সুতন্দ্রার মা। উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পানাগড়ে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চন্দননগরের বাসিন্দা নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির। মৃতার গাড়িচালক ও সঙ্গীরা দাবি করেন, অন্য একটি গাড়ি থেকে তাঁদের ইভটিজিং করা হচ্ছিল। এমনকি, তাদের গাড়িকে ধাওয়া করছিল অন্য গাড়িটি। জাতীয় সড়ক থেকে নেমে গিয়ে সার্ভিস রোডে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সুতন্দ্রার গাড়িটি।
ঘটনার পর কেটে গেছে পাঁচদিন। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাদা গাড়ির মালিক বাবলু যাদবকে। সুতন্দ্রার গাড়িতে যারা ছিলেন সকলের বয়ান নিয়েছে আদালত। শুক্রবার সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মা দাবি করেন, ওই তরুণী বলেছিলন, সাদা গাড়িটিকে ধাওয়া করে ধরতে। সেই কথা শুনতে গিয়ে প্রায় একশো কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সুতন্দ্রার গাড়ি। এদিন চন্দননগর থানায় সুতন্দ্রার মা অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দুটি গাড়িতে থাকা সকলকেই দায়ী করেছেন। জানা যাচ্ছে, ওই সাদা গাড়িটিতে বাবলু সহ অন্যরা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
মৃতা তরুণীর মায়ের অভিযোগ, একে তো মদ্যপ অব্স্থা তার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি চালানো। দুটি গাড়ির অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য যে বা যারাই দায়ী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিক এই কথাও জানিয়েছেন সুতন্দ্রার মা। প্রথম দিনে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। এবার চন্দননগর থানাতেও দায়ের হল আরও একটি অভিযোগ। মৃতার মা জানিয়েছেন, ‘পুলিশের ওপর আস্থা রয়েছে। মেয়ের সঠিক বিচার অবশ্যই পাওয়া যাবে’।