• চোপড়াতে আসামীকে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ মার্চ ২০২৫
  • ফের উত্তর দিনাজপুরে আসামীকে নিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনা ঘটল। এর আগে এই জেলারই গোয়ালপোখরে একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার চোপড়াতেও একই ঘটনা ঘটলো। পুলিশের হাত থেকে রীতিমতো আসামীকে ‘ছিনতাই’ করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর গ্রামে। দুঃসাহসিক ও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৮জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের সময়। অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত মজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের সময় গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়ে পুলিশ। তাঁকে গাড়িতে তুলতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলাও চালান বিক্ষুব্ধরা। সেই সুযোগ কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। তাঁরা অভিযুক্তকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তৃণমূলের একজন কর্মী। ঘটনার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়েছে। এই ছিনতাইকারীরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী বলে দাবি করা হয়েছে।

    তবে এই ছিনতাই নিয়ে অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান। তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের প্রাক্তন এক সদস্যকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের কাছে কোনও বৈধ পরোয়ানা ছিল না। মজিবুরের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই। তারপরেও তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই গ্রামবাসীরা পরোয়ানা দেখতে চান। কিন্তু পুলিশ দেখাতে পারেনি। ওই কারণেই গ্রামবাসীরা বাধা দেন। মজিবুর রহমানকে নিয়ে যেতে এখন পুলিশ গোটা গ্রামকে ফাঁকা করে দিয়েছে। অত্যাচার চালাচ্ছে। দোকানপাট ভাঙচুর করেছে।’

    যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল অভিযুক্তদের আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের উপর হামলা একটি আইনবিরুদ্ধ ও নিন্দনীয় ঘটনা। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দল এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)