• ‘ফুঁ দিলে উড়ে যেত, কিন্তু তৃণমূল প্রত্যাঘাত করেনি’, যাদবপুরে ব্রাত্য বসুকে হেনস্তায় তোপ মদনের
    প্রতিদিন | ০২ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হেনস্তার শিকার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছাত্রদের আন্দোলনের ঠেলায় চোট পেয়েছেন ঘাড়ে-কোমরে। তারপরেও ‘সংযমে’র পরিচয় দিয়েছেন মন্ত্রী নিজে এবং গোটা দল। এমনটাই দাবি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। যাদবপুরে ‘জঙ্গিপনা’র পালটা জবাব ঘাসফুল শিবির দিতেই পারত, তবু তারা রাজনৈতিক ‘পরিণতবোধে’র পরিচয় দিয়েছে বলেই মত তাঁর।

    আহত শিক্ষামন্ত্রী এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাঝেই সতীর্থের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন মদন। সেখান থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম এবং অতি বাম ছাত্র সংগঠনের ‘জঙ্গিপনা’র বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

    মদন মিত্রের কথায়, “শিক্ষামন্ত্রী গিয়েছিলেন আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে। আপনাদের ব্যথার কথা শুনতে। কিন্তু আপনারা তা করেননি। তৃণমূল চাইলে একটা ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে পারত। কিন্তু ভেবে দেখুন, তৃণমূল দলটা কতটা রাজনৈতিকভাবে পরিণত, কতটা ট্রেনড, কোনও প্রত্যাঘাতই করল না।” কামারহাটির বিধায়কের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকে ওয়েবকুপার বার্ষিক সভা ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিবেশ ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসএফআই প্রাথমিকভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলে সভা বানচালের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।পোস্টার, ব্যানার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপর দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সভায় ভাষণ দেওয়াকালীন সেখানে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর করে ‘তাণ্ডব’ চালায় বামপন্থী ছাত্রদের কয়েকজন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বেরনোর সময়ই চরম আঘাতের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। অসভ্যতা হয়েছে। এরা কারা? শিক্ষামন্ত্রী আলোচনার রাস্তা খুললেও তাঁরা তাণ্ডব করেছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)