‘আমি হলে আরও জোরে…’, যাদবপুরে ব্রাত্যের ‘গাড়িতে চাপা পড়ার’ কথা মিথ্যে, বলল TMC
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মার্চ ২০২৫
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের উপর দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি চালানো হয়েছে বলে বামেরা যে অভিযোগ তুলছে, তা মিথ্যে বলে দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষনেতা অরূপ বিশ্বাস দাবি করেছেন, ‘না, না, । আমাদের শিক্ষাবন্ধুদের অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরা কারা? কোথায় গণতন্ত্র? কারা গণতন্ত্রের জন্য গলা ফাটাচ্ছে? ওরা যদি আমাদের দুর্বল ভাবে, তাহলে ওরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। আজ থেকে যাদবপুরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই শুরু হল। আগামিদিনেও চলবে লড়াই।’
একইসুরে তৃণমূলের অপর নেতা কুণাল ঘোষ আবার ব্রাত্যের গাড়ির নীচে এক ছাত্র পড়ে যাওয়ার ঘটনা উড়িয়ে দিয়েছেন। শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ব্রাত্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কুণাল বলেন, 'এই ধরনের আজেবাজে কথা বলে কোনও লাভ নেই। কারণ ব্রাত্য বসু তো তাঁর ঘোষিত কর্মসূচিতে গিয়েছেন। তাঁকে বাধা দেওয়া হবে কেন? তাঁকে বাধা দেওয়া হবে কেন?'
কুণাল যে আক্রমণাত্মক সুরে প্রশ্ন করেছেন, তার থেকেও বেশি সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, একটি টিভি চ্যানেলে বলে সিপিআইএমের এক প্রতিনিধি নির্লজ্জভাবে বলছিলেন যে তাঁদের একজন ছাত্রকে ধাক্কা মেরে চলে গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি। অথচ সেই টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজেই দেখা যাচ্ছে, ব্রাত্য বসু যখন গাড়িতে বসছেন, তখন কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘পাথর নিয়ে আয়, পাথর নিয়ে আয়।’ আর পাথর নিয়ে এসে সত্যি-সত্যি শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে দিলেন। গাড়িতে জুতো মারলেন।
দেবাংশুর প্রশ্ন, ‘তারপরও শিক্ষামন্ত্রী অপেক্ষা করবেন নিজের মৃত্যুর জন্য? কারণ তিনি ভিতরে তো পুলিশ ডাকতে পারবেন না।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজ যদি শিক্ষামন্ত্রী ওই অবস্থা থেকে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে না আসতেন, তাহলে গাড়ির কাচটা ভাঙার পরে তাঁর মাথা ফাটানো হত। তিনি বসে থাকতেন? তারপর কান্নাকাটি করছেন, কেন ছেলেটা ধাক্কা লেগে পড়ে গেল? বনেটের উপরে উঠে যদি বসে থাকেন, তাহলে ফুল-চন্দন দিয়ে পুজো করা হবে? আমি ব্রাত্য বসুর জায়গায় থাকলে আরও জোরে গাড়িটা চালিয়ে বেরোতাম ওখান থেকে।’
আর সেই পুরো ঘটনা ঘটেছে তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনের মধ্যেই। শনিবার সেই বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে যান শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে বামপন্থী এবং অতি বাম ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় পাইলট গাড়ি। শিক্ষামন্ত্রী আহতও হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পালটা দাবি, মন্ত্রীর গাড়িতে চাপা পড়েছেন এক ছাত্র। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।