অনেকের জীবনের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে হলুদ ট্যাক্সি। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সেই হলুদ ট্যাক্সির একাংশকে বিদায় নিতে হবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এনিয়ে মন খারাপ হয়েছে অনেকেরই।তবে এবার খুশির খবর। সেই হলুদ ট্যাক্সিই ফিরছে একেবারে অন্য় রূপে। একেবারে অন্য সাজে ফিরছে হলুদ ট্যাক্সি।
তবে এবার আর অ্যাম্বাসাডর নয়,এবার অন্য একটি কোম্পানির গাড়ি ফিরছে হলুদ রঙে রাঙিয়ে। একটি বেসরকারি সংস্থার চালু করল এই ইয়েলো হেরিটেজ ক্য়াবস। ওই সংস্থা চুক্তি বদ্ধ হয়েছে গাড়ির সংস্থার সঙ্গে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই হেরিটেজ অ্যার ক্যাবসের সূচণা করেছেন।
প্রথমদিকে ২০টি ট্যাক্সি নেমেছে পথে। তবে আরও নামবে ধাপে ধারে। সেই হলুদ রঙ। তবে আকৃতি একটু আলাদা। সব মিলিয়ে আগামী দিনে প্রায় ৩০০০এই ধরনের অ্য়াপ ক্যাব চালু হতে পারে আগামী দিনে।
এই ট্যাক্সির গায়ে আঁকা থাকবে শহিদ মিনার ও হাওড়া ব্রিজের ছবি। আসলে কলকাতা মানেই তো এই দুটো ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেকারণেই কলকাতার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য এই দুটি ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।
যাত্রী সাথী অ্য়াপের মাধ্য়মে বুক করা যাবে এই ধরনের গাড়ি। একেবারে ঝা চকচকে আধুনিক গাড়ি। তবে তার সঙ্গেই যেন মিশে আছে সেই ঐতিহ্যের গন্ধ।
পুরনো ও নতুনের এক অদ্ভূত মিশ্রন। নামের সঙ্গেও রয়েছে সেই হেরিটেজ শব্দটি। আবার নস্টালজিয়ায় ফেরা যাবে।
এই নয়া ট্যাক্সিতে সিট বেল্ট থাকবে। এখানে এয়ার ব্যাগ থাকবে। অর্থাৎ যাত্রী সুরক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবার।
এই ট্যাক্সি সিএনজি ও পেট্রল উভয় ভাবেই চলবে। যাত্রী সাথী অ্য়াপের মাধ্য়মেই এই হেরিটেজ ট্যাক্সি বুক করা যাবে।
সেক্ষেত্রে যারা ভাবছিলেন কলকাতার বুক থেকে হারিয়ে যাবে হলুদ ট্যাক্সি তাদের জন্য সুখবর। হারাচ্ছে না। তবে অনেকে বলছেন আসলে হলুদ রঙটা নিয়ে ব্যাপার নয়। ব্যাপার হল অ্য়াম্বাসাডর। সেটাই তো হারিয়ে যাচ্ছে।
তবে এবার একটু অন্যরকমভাবে ফিরছে এই হেরিটেজ ট্য়াক্সি ক্যাব। সেই ক্যাবকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই উৎসাহ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতার জনজীবনের সঙ্গে এই অ্যাক ক্যাব কতটা জড়িয়ে যাবে সেটাই এখন দেখার। সেক্ষেত্রে মন খারাপ আপাতত বিদায়। এবার ইয়েলো হেরিটেজ ক্যাব কলকাতায়।