• ডাক্তার দেখানোর..., বেহালায় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের শেষ করলেন বাবা, কেন?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মার্চ ২০২৫
  • ট্যাংরাকাণ্ডের জের ফুরোয়নি এখনও। তার আগে বেহালার পর্ণশ্রীতে উদ্ধার করা হল বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। পর্ণশ্রীর হো চি মিন সরণিতে একটি বাড়ির একতলায় ওই ব্যক্তির দোকান ও অফিস ছিল। রান্নাঘরের চিমনি, জলের ফিল্টার বিক্রির ব্যবসা ছিল তাঁর। আর্থিক সংকট বিরাট ছিল এমনটা নয়। কিন্তু সেই তিনিই চলে গেলেন চিরতরে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। বাবা ও কন্যার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে শুক্রবার রাতে। মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বেরিয়েছিলেন বলে খবর। 

    স্বজন দাস ও সৃজা দাস। মৃত্য়ু হয়েছে দুজনেরই। কিন্তু কেন এই চরম পথ বেছে নিলেন তাঁরা? অনেকের মতে, কন্য়াকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন স্বজন। কিন্তু সেই সৃজা ছিলেন অটিজমে আক্রান্ত। এটা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় থাকতেন তিনি। ভবিষ্য়তে মেয়ে কীভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন তা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন স্বজন। তবে কি সেই চিন্তা থেকেই তিনি এই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন?

    এলাকায় বেশ মিশুকে বলেই পরিচিত ছিলেন স্বজন। সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকতেন তিনি। সকলের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতেন। আর সেই মানুষটারই এমন পরিণতি। তবে আর্থিকভাবে তিনি স্বচ্ছল না হলেও একেবারে বিরাট সংকট ছিল এমনটা নয়। তবে সম্প্রতি তিনি ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতেন। তবে এসবের মধ্যেই একটা বিষয় সামনে আসছে যে সম্প্রতি ট্যাংরাতে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় তদন্তে উঠে আসে মূলত আর্থিক সংকটে জেরবার ছিল গোটা পরিবার। আর সেই পরিবার সংকট থেকে মুক্তির কোনও পথ না পেয়ে গোটা পরিবার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু সেটাতে সফল না হওয়ার জেরে তিনজনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর তিনজন গাড়ি নিয়ে ধাক্কা দেয় অভিষিক্তা মোড়ের পিলারে। 

    তবে সেই ঘটনা শোনার পরে বেহালার এই বাবা মেয়ে চরম সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছিলেন কি না সেটা জানা যায়নি। তবে স্বজনের পুত্রও রয়েছে। কিন্তু মেয়ের শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। এমনটাই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে উভয়ের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। ২২ বছরের মেয়েকে নিয়ে কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)