যাদবপুর থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ। একদিকে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। আর অপরদিকে এসএফআইয়ের নেতা কর্মীরা। মাঝখানে শান্তিরক্ষার জন্য পুলিশ। মূলত যাতে বড় কোনও অশান্তি না হয়ে যায় তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে রাস্তায় নামেন তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষরা। তুমুল স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা।
অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্য়মে বলেন, ওরা তো শূন্য, কিছু আছে ওদের। কয়েকটি বাচ্চা ছেলেকে রাস্তায় নামানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে আঘাত করা হয়েছে। আমাদের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক এসএফআই সমর্থকের আহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবটা বানানো। আমাদের মন্ত্রী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, যদি মনে হয় এক মিনিট সময় লাগবে যাদবপুর দখল করতে। তোমরা ছাত্র, গুণ্ডামি তোমরা করো না। যাদবপুরের মানুষ বার বার তোমাদের থাপ্পড় মেরেছে। প্রতিবাদ চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চলবে। এত বড় হিম্মত আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর করল। আমাদের আগুন নিয়ে খেলবেন না কমরেড। তবে নেত্রী আমাদের সহনশীল হতে শিখিয়েছেন। আগামী কাল থেকে রাস্তায় নামার লড়াই।
এক তৃণমূল নেতা বলেন, যারা ৬ শতাংশ ভোট পায় না, তারা ৫০ শতাংশকে মারতে আসছে। তারপরেও আমরা কিছু বলিনি। যাদবপুরে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ রাখা যাবে না। যারা শিক্ষামন্ত্রীর গায়ে হাত তোলার সাহস দেখাচ্ছেন তাদের বলছি লক্ষণরেখা পার করবেন না।
সায়নী ঘোষ বলেন, যারা ২৯৪টি সিটের মধ্য়ে একটি সিট জিততে পারে না তারা ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ২০২৬ সালে ফের খেলা হবে।
এসএফআই নেতৃত্বের দাবি, একাধিক ছাত্রের উপর দিয়ে গাড়ি চলে গিয়েছে। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের উপর দিয়েও গাড়ি চলে গিয়েছে। সে মারাত্মক আহত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি।
এদিকে যাদবপুরের ক্য়াম্পাসের ঝড় এসে পড়ে রাস্তায়। এসএফআই রাস্তায় নেমে পড়ে। রাস্তা অবরোধ হতেই পালটা সাধারণ যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাও রাস্তায় নেমে পড়েন। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যাদবপুর। মাঝখানে পুলিশ ছিল। পুলিশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
তবে ক্যাম্পাসের মধ্যে যেভাবে মন্ত্রীর গাড়ির উপর হামলা হয়েছে তা কতটা ছাত্র সুলভ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে কি আবার শিক্ষাঙ্গনে সেই হামলা, সংঘর্ষের পুরনো ছবি ফেরাতে চাইছে এসএফআই? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।