• শান্তিপুরের বিএমওএইচের নীল বাতি লাগানো গাড়ির ব‌্যবহার নিয়ে বিতর্ক
    বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: তিনি ব্লক মেডিক্যাল হেলথ অফিসার। নিয়ম অনুযায়ী তিনি নীলবাতি ব্যবহারের জন্য যোগ্যই নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে দিনের পর দিন নীল বাতি লাগিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। শান্তিপুরের বিএমওএইচ পূজা মৈত্রের এহেন কর্মকাণ্ড ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। আর সেই বিতর্ক ছুঁয়েছে সরকারি দপ্তর থেকে রাজনীতির অলিগলিকেও। 


    ঘটনাটি কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, বর্তমানে শান্তিপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে আসীন চিকিৎসক পূজা মৈত্র। ঘটনাচক্রে যিনি রানাঘাট শহরের বাসিন্দা। অভিযোগ, তিনি নীল বাতি গাড়ি ব্যবহার করেন। যদিও চিকিৎসক মহলের একাংশ এবং প্রশাসনিক সূত্র বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষেত্রে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ছাড়া নীল বাতি ব্যবহারের যোগ্য আর কেউই নন। শুধু তাই নয়, নীল বাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব কিছু গাইডলাইন রয়েছে বলেও দাবি আইনজীবী মহলের। ফলে বিএমওএইচের নীল বাতি ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছে। যেমন খোদ সহকারি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, রানাঘাট পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, সিএমওএইচ ছাড়া জেলায় আর কোনও স্বাস্থ্য আধিকারিক নীল বাতি ব্যবহার করতে পারেন না বলেই জানি। আমি নিজেও তাই নীল বাতি গাড়ি ব্যবহার করি না। 


    নীল বাতি গাড়িতে চড়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন পূজা মৈত্র। তিনি বলেন, বিডিও, থানার ওসি-আইসিরাও নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করেন। যেহেতু আমরা আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাই আমি নীল বাতি লাগিয়েছি। জনস্বার্থে তড়িঘড়ি বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। তাছাড়া শুধু আমি নই, জেলার অনেক বিএমওএইচ-ই নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন। যদি বিষয়টি অন্যায় হতো, তাহলে আমার গাড়ি রাস্তায় আটকে নীলগতি খুলে নিত প্রশাসন। বিতর্ক প্রসঙ্গে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তিনি বলেন, নীল বাতি ব্যবহারের বিষয়টি আমি জানি না। তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একই প্রসঙ্গে ফোন করা হয়েছিল নদীয়া জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে স্বাস্থ্যদপ্তরের গাইডলাইনে কী আছে। তারপর এবিষয়ে বলা সম্ভব। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী বিএমওএইচ নীল বাতি ব্যবহার করতে পারেন না বলে সাফ জানিয়েছেন জেলার মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র সিএমওএইচ পদটাই নীল বাতির জন্য যোগ্য।। যদি এমন কেউ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সেটা উচিত হয়নি। বাকিটা খোঁজ নিয়ে দেখছি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)