• তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অনেকেই অধরা, শেখ কালোকে খুঁজছে পুলিস
    বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: কাঁকরতলায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিস ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও এখনও অনেকেই অধরা। সেই তালিকায় শেখ কালোও রয়েছে। মৃত তৃণমূল কর্মী শেখ নিয়ামুলের পরিবার শুরু থেকেই এই খুনের ঘটনায় মূল মাথা হিসেবে শেখ কালোর নাম তুলে ধরেছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুলিসের তরফে দ্রুত শেখ কালোকে গ্রেপ্তার করা হোক। পুলিসও অবশ্য তার খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে। সেইসঙ্গে তদন্তের জাল গোটাতে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করা পাঁচজনকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এদিকে ঘটনায় তদন্ত শুরু হতেই পুলিস শেখ আকবরকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস একটি লোহার রড উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ওই লোহার রড ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সঠিক কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে পুলিস তদন্ত জারি রেখেছে। 


    জেলা পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, পাঁচজনকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তদন্ত চলছে।  দলীয় বৈঠক সেরে বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় ওই তৃণমূল কর্মীকে লোহার রড, পাথর দিয়ে এলোপাথাড়ি মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুরু থেকেই মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, শেখ কালো এই খুনের ঘটনার অন্যতম মাথা। যদিও পুলিস এখনও তার খোঁজ পায়নি। তবে ঘটনার শুরুতেই পুলিস শেখ আকবরকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে তাকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস বেশকিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। 


    অন্যদিকে, তদন্তের জাল গোটাতে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করে আনা পাঁচ ধৃতকে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে বিচারক ধৃতদের চারদিনের পুলিসি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।  পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সাদ্দাম, শেখ লালন, শেখ নইমুল, শেখ ফিরদৌস, শেখ শরফুদ্দিন বেঙ্গালুরুতে গা ঢাকা দিয়েছিল। প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন সূত্র কাজে লাগিয়ে পুলিস তাদের হদিশ পেতেই জেলা পুলিসের সাত সদস্যের একটি দল বেঙ্গালুরু পৌঁছে যায়। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ তাদের গ্রেপ্তার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়া হয়। শুক্রবার ধৃতদের কাঁকরতলা থানায় নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও খোঁজ চলছে। মৃতের দাদা শেখ আকরামুল বলেন, পুলিস ভালো কাজ করছে। তবে ভাইয়ের খুনের ঘটনায় শেখ কালো এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। সে এই ঘটনার মূল মাথা। অমি চাই পুলিস দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)