রমজান মাস শুরু হতেই আপেল থেকে শসার দাম বাড়ছে জঙ্গিপুরে
বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: কয়েকদিন ধরে ফলের বাজার চড়ছিল। রমজান মাস শুরু হতেই তা আরও অনেকটা বেড়ে গেল। বাজারে পাতিলেবু কিনতে গিয়ে রীতিমতো ছ্যাঁকা খাচ্ছে আমজনতা। পাতিলেবু বিক্রি হচ্ছে ১০টাকা জোড়া। শসা ও কলা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। আজ, রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। সেকারণে ফলের দাম বাড়ছে বলে অনেকে মনে করছেন। আপাতত চড়া দর থেকে রেহাই পাওয়ার আশা নেই বলেই মনে করছেন অনেকে। মুর্শিদাবাদ জেলার একটা বড় অংশের মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁরা ধর্মীয় রীতি মেনে সন্ধ্যায় রোজা ভঙ্গ করেন, সেখানে খাদ্যতালিকায় শরবতের সঙ্গে থাকে হরেকরকম ফল। সেই ফল কিনতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
জঙ্গিপুরের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসার বশিষ্ঠ রায় বলেন, এবিষয়ে আমরা নজর রাখছি। শনিবারই বাজারে হানা দেওয়া হয়েছে। বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বেআইনিভাবে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রোজার আগের দিন থেকেই বাজারে পাতিলেবুর চাহিদা তুঙ্গে। এক লাফে লেবুর দাম বেড়েছে অনেকটাই। লেবুর শরবত খেয়ে ইফতার করেন অনেকে। প্রতিটি পাতিলেবু বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা দামে। দিন দুয়েক আগেও দশ টাকায় বাজারে চার-পাঁচটা লেবু মিলত। পাশাপাশি শসার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। রঘুনাথগঞ্জে ফলের বাজারে ৫০টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আপেল ১৮০-২০০ টাকা, আঙুর এক লাফে ১০০ টাকা থেকে ১৮০টাকা, কলার, মোসাম্বির দামও অনেকটা বেড়েছে। সেকারণে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারা। বালিয়ার বাসিন্দা লেবু ক্রেতা মুরফুল শেখ ও লালগোলার মহম্মদ আলিমুদ্দিন বলেন, লেবুর সাইজও ছোট, শুকনো। রস তেমন হবে না বলেই মনে হচ্ছে। অথচ পাঁচ টাকা পিস বলছে। শসা, আপেল, আঙুর সহ সবরকম ফলের দাম বেড়েছে।
ডোমকল মহকুমায়ও ফল ও সব্জির দর বেড়েছে। সপ্তাহখানেক আগেই শসা ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার বাজারে তা ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যে কমলালেবু দিনকয়েক আগে ১২টাকা পিস ছিল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ১৫-২০টাকায়। এছাড়াও আপেলের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০-৩০টাকা, বেদানা কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। জঙ্গিপুরের পাশাপাশি বহরমপুর, ডোমকল, লালবাগ, কান্দি সহ জেলার সর্বত্রই ফলের বাজার চড়ছে বলে জানা গিয়েছে।