সংবাদদাতা, দিনহাটা: শনিবার ভুয়ো ভোটারের খোঁজে দিনহাটা বিধানসভা এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিক বিকেলে তিনি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বামনহাটের লাউচাপড়া গ্রামে যান। সেখানকার ভোটারদের এপিক নম্বর যাচাই করে দেখেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভার প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছনোর জন্য তিনি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
শনিবার সকালে মন্ত্রী দিনহাটা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুড়িপাড়ায় পৌঁছন। তিনি সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার সমীর সরকার। মন্ত্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গীরা ভোটারদের তথ্য অনলাইনে যাচাই করে দেখেন। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। ভোটের কার্ড হাতে নিয়ে মন্ত্রীর সামনে এসে হাজির হন মহিলারা। তাঁদের এপিক নম্বর অনলাইনে যাচাই করে কোনও সমস্যা নেই জানাতে হাফ ছেড়ে বাঁচেন অনেকেই।
মন্ত্রী সকালবেলা শহরে পরিদর্শনের পরে বিকেলে হাজির হন গ্রামীণ এলাকায়। বামনহাটের লাউচাপড়া গ্রামে ভোটারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এলাকার সমস্যার কথা জানার পাশাপাশি ভোটের কার্ড যাচাই করে দেখা হয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় সভা করে ভুয়ো ভোটার নিয়ে সতর্ক করেন। ভোটার কার্ডের সমস্যা নিয়ে রাজ্য কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি তাঁর বিধনসভা এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। মন্ত্রীর পাশাপাশি কোচবিহার জেলাজুড়ে ভোটার কার্ড যাচাই করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দিনহাটা শহরের একাধিক জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারকার্ড যাচাই করে দেখছেন দলের কর্মীরা। সিতাই বিধানসভার গীতালদহতেও ভোটার কার্ড যাচাই করার কাজ করছেন দলের কর্মীরা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের কায়দায় এই বাংলাতেও ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম রয়েছে। এই রাজ্যের ভোটারের এপিক নম্বরে অন্য রাজ্যের ভোটারের নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতেই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। ১০ দিনের মধ্যেই সমস্ত ভোটারের কাছে যাবেন দলের কর্মীরা। - নিজস্ব চিত্র