সংবাদদাতা, ইটাহার: অচৈতন্য করে একই রাতে পরপর দুটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠল। লক্ষাধিক টাকার সোনা, রুপো ও নগদ চুরি গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। পাশাপাশি ওই রাতে একটি সোনার দোকানের শাটার কেটে চুরি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহারের দুর্গাপুর অঞ্চলের হাঁসুয়া ও হাটখোলা এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে হাঁসুয়া এলাকার বাসিন্দা বিপুল দাস ও বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। বিপুল বিমা সংস্থার এজেন্ট এবং বিশ্বজিৎ বেসরকারি সংস্থার কর্মী। শনিবার সকালে উঠে বিপুল দেখেন শোওয়ার ঘরের আলমারির খোলা। জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে।
একাধিক উপভোক্তার দেওয়া বিমার কিস্তির টাকা সহ কয়েক ভরি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার চুরি গিয়েছে। বিপুল বলেন, ঘর থেকে এতকিছু চুরি করে নিয়ে গেল, অথচ কিছুই টের পেলাম না। ঘটনাটি অবাক করার মতো। হয়তো ঘুমপাড়ানি কিছু স্প্রে করে এই কাজ করেছে।
পাশেই বাড়ি বিশ্বজিতের। তাঁদের আলমারি ভেঙে সোনা ও রুপোর অলঙ্কার এবং নগদ নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিশ্বজিৎ বলেন, ওষুধ স্প্রে করে অচৈতন্য করা পর এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নাহলে চুরি হচ্ছে বুঝতে পারতাম।
একই রাতে দুর্গাপুর হাটখোলা এলাকায় সঞ্জীব রায়ের সোনার দোকানের শাটার ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেও সোনার অলঙ্কার চুরি হয়েছে। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইটাহারের পুলিস। একই এলাকায় তিনটি চুরির ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। রাতে টহল বাড়ানো ও সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। লিখিত অভিযোগের পর তিনটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিস।
(ইটাহারের হাঁসুয়া গ্রামে চুরির ঘটনার তদন্ত করতে আসে পুলিস।-নিজস্ব চিত্র)