রাত্রিকালীন ওষুধ পরিষেবা শুরু, রোস্টার মেনে খোলা থাকবে একটি করে দোকান
বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: শনিবার থেকে ময়নাগুড়ি শহর এলাকায় রাত্রিকালীন ওষুধ পরিষেবা শুরু হল। প্রতিদিন শহর এলাকায় একটি করে দোকান সারারাত খোলা থাকবে। বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ময়নাগুড়ি জোনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোন দোকান কোন দিন রাতে খোলা থাকবে তার একটি রোস্টার তৈরি করেছে সংগঠন। স্টিকার আকারে সেটি ময়নাগুড়ি থানা, পুরসভা, হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত ওষুধের দোকানে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই রোস্টার পোস্ট করা হচ্ছে। ময়নাগুড়িবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাতে যেন ওষুধ পরিষেবা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভায় বৈঠক হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী সহ ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত দেব অধিকারী, ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় সহ ব্যবসায়ীরা। ওই বৈঠকে ওষুধ ব্যবসায়ীদের রোস্টার তৈরি করতে বলা হয়। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাগুড়ি থানা, ব্যবসায়ী সমিতি, পুরসভা, ব্লক প্রশাসন সহ জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ময়নাগুড়ি জোনের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন অলোক দাস, সহ সভাপতি অলোক মৈত্র। সম্পাদক মানব দাস। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রদ্যুৎ সাহা। ময়নাগুড়িতে সংগঠনের সদস্য রয়েছে ১৪৫ জন। ৬৮ বছর আগে এই সংগঠনের ময়নাগুড়ি জোন গড়ে ওঠে। সংগঠনের মূল মন্ত্র সার্ভিস টু হিউম্যানিটি। সংগঠন ব্যবসায়িক পরিষেবার পাশাপাশি সারা বছর নানা সেবামূলক কাজ করে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
বিসিডিএ’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রদ্যুৎ সাহা বলেন, ওষুধের বণ্টন ব্যবস্থা যেন সঠিক থাকে, ওষুধের দাম ও গুণগত মান ঠিক রাখা, লভ্যাংশ থেকে ওষুধ ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে এই সংগঠন অনবরত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অলোক মৈত্র, মানব দাস, অলোক দাস বলেন, আমরা করোনার সময়ও দিনরাত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছি। বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে ওষুধ সরবরাহ করেছি। ১ মার্চ থেকে ময়নাগুড়িতে আমাদের রাত্রিকালীন জরুরি ওষুধ পরিষেবা শুরু হল।