• ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৪ জনের এপিক নম্বরে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার নাম, দাবি তৃণমূলের
    বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর যাচাই করলেই ভেসে উঠছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার নাম। এক দু’জন নয় মাথাভাঙা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৪ জন বাসিন্দার নামে থাকা এপিক নম্বরেই এই গরমিল ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহরজুড়ে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি বুথ। এদিন স্থানীয় কাউন্সিলার উদয়শঙ্কর চক্রবর্তী, শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক ও ভাইস চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। শহর তৃণমূলের দাবি, শুধু ১০ নম্বর ওয়ার্ডেই এমনটা হয়েছে তা নয়। ইতিমধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিন জন এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন বাসিন্দার এপিক নম্বরে গরমিল ধরা পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এপিক নম্বর দিয়ে যাচাই করার কাজ শুরু হয়েছে। যাদের গন্ডগোল রয়েছে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোটার তালিকায় কারচুপির বিষয়টি জানানোর পর থেকে একের পর এক অসঙ্গতি সামনে আসছে। মাথাভাঙা বিধানসভার ফুলবাড়ি ও বড়শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীর ভোটার এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার নাম দেখা গিয়েছে। এর মাঝেই এদিন শহরের একটি ওয়ার্ডে ব্যাপক গরমিল সামনে এল। 


    মাথাভাঙা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক হরিগোপাল পালের নামেও গরমিল ধরা পড়েছে। সবচেয়ে বড় ঘটনা হল এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিধান চন্দ্র রায় বর্মনের এপিক নম্বরে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের দু’জনের নাম দেখা যাচ্ছে। 


    এব্যাপারে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার উদয়শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, এদিন আমরা ভোটার তালিকা ধরে যাচাই করতে গিয়ে একাধিক ভুয়ো নাম দেখতে পেয়েছি। আমার ওয়ার্ডে তিনটি বুথ। এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪ জনের এপিক নম্বরে গরমিল ধরা পড়েছে। গোটা এলাকায় কত নামে এধরনের গরমিল রয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। 


    শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন, বিজেপি চক্রান্ত করে ভোটার তালিকায় গরমিল করেছে। মানুষকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সহ সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, তৃণমূল নিজেরা এজেন্সিকে দিয়ে ভোটার তালিকায় গরমিল করেছে। এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তৃণমূলের এসব কারসাজি মানুষ জানে।
  • Link to this news (বর্তমান)