• চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যাচাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের
    বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’বছর আগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার ময়নাতদন্তের নথি সহ যাবতীয় মেডিক্যাল রেকর্ড কল্যাণী এইমসের ডিরেক্টরকে যাচাইয়ের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 


    ২০২৩ সালের ৩০ জুন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়া তনুশ্রী গোস্বামীর দেহ উদ্ধার হয়। ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। তাদের দাবি, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু ওই বছর ৩ জুলাই মৃতার পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের করে অভিযোগ করা হয়, মানসিক অত্যাচারের কারণেই তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। পরিবারের তরফে আরও দাবি, অভিযোগ জানানো হলেও তনুশ্রীর কল রেকর্ড ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইল যাচাই করে এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা যুক্ত, পুলিস তা খোঁজার চেষ্টাই করেনি। ময়নাতদন্তও সঠিকভাবে করা হয়নি বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়। পরবর্তীতে পুলিসি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক-পড়ুয়ার বাবা। 


    সম্প্রতি বিচরিপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রাজ্যের তরফে কেস ডায়েরি, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি, রিপোর্ট এবং হিস্টো প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট পেশ করে দাবি করা হয়, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। মানিসিকভাবে তিনি অত্যাচারিত হয়েছিলেন কি না, তদন্তে তা উঠে আসেনি। পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তে যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে। অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ঘোষ নির্দেশে জানান, প্রথমে রাজ্যের জমা দেওয়া ময়নাতদন্ত ও হিস্টো প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল কল্যাণী এইমসের ডিরেক্টর যাচাই করে ২০ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। ২১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
  • Link to this news (বর্তমান)