সুতন্দ্রার গাড়িই মাঝ রাস্তায় আটকানোর চেষ্টা করে, চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃত বাবলুর
বর্তমান | ০২ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল ও সাংবাদদাতা, মানকর: সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িই মাঝ রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পানাগড় দুর্ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পুলিসের কাছে এমনই দাবি করল ধৃত বাবলু যাদব। শনিবার জাতীয় সড়কের উপর প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিস। সেখানেই সুতন্দ্রা ও বাবলুর গাড়ি কোথায় কীভাবে সংঘর্ষ হয়েছিল তা দেখা হয়। শুধু বাবলু নয়, সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাও দাবি করেছিলেন, ‘ম্যাডামে’র নির্দেশে তিনিই গাড়িটি ধাওয়া করেন। ওই যুবতী মাঝরাতে কেন চালককে গাড়ি ধাওয়া করার নির্দেশ দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাবার গাড়িতে আঘাত করায় আবেগবশত সুতন্দ্রার এই পদক্ষেপ, নাকি গাড়িতে ধাক্কার ক্ষতিপূরণ আদায়ই তাঁর লক্ষ্য ছিল? আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি(কাঁকসা) সুমন জয়সওয়াল বলেন, আমরা ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখছি। এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ে দুর্ঘটনায় শোরগোল পড়ে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইভেন্ট ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। সুতন্দ্রার মৃত্যুর পর তাঁর সহকর্মীরা বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁরা জানান, গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকা সুতন্দ্রাকে দেখে ইভটিজাররা কটূক্তি করে। এমনকী, একাধিকবার তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। শেষে গাড়ির ধাক্কাতেই সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়। যদিও পরে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বয়ান বদল করেন সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেহ শর্মা। তিনি বলেন, আমাদের গাড়িতে প্রথমে ধাক্কা মারে সাদা ক্রেটা গাড়িটি। ম্যাডামের প্রয়াত বাবার দেওয়া গাড়িতে ধাক্কা মারায় তিনি সাদা গাড়িটি ধাওয়া করতে বলেন। অপর গাড়ির চালক বাবলুর আরও অভিযোগ, পানাগড় পুরনো জিটি রোড ঢোকার মুখেই সুতন্দ্রাদেবীর গাড়িই ওভারটেক করে মাঝ রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। কোনওরকমে পাশ কাটিয়ে তারা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। তারপরই ফের পিছু ধাওয়া করে। ঘটনার পরই সুতন্দ্রার সহকর্মীদের দাবি ছিল, দুর্ঘটনার পরই তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে সাদা ক্রেটা গাড়ির চাবি খুলে নেন। সম্ভবত তখনও তাঁরা জানতেন না তাঁদের ম্যাডামের মৃত্যু হয়েছে। কেন সুতন্দ্রা ও তাঁর সহকর্মীরা ক্রেটা গাড়িটি থামাতে এতটা বেপরোয়া ছিলেন পুলিস তা তদন্ত করে দেখছে। অন্যদিকে ঘটনার সময়ে বাবলুর সঙ্গে থাকা আরও তিন যাত্রী এখনও বেপাত্তা। পুলিস তাদেরও খোঁজ করছে।