• ‘খোলা হাওয়া’ পেতে ফের কি ফুল বদলের পথে দশরথ
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৫
  • পিনাকী চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার

    আলিপুরদুয়ারের রাজনৈতিক অলিন্দে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে, তাঁর ঘর ওয়াপসিটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষায়। তিনি প্রাক্তন সাংসদ তথা পূর্ত দপ্তরের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী দশরথ তিরকে। ২০১১ সালের পরিবর্তনের সুনামিতেও আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে জিতেছিলেন দশরথ।

    তারপর তৃণমূলে ভিড়ে যান তিনি। পুরস্কার হিসেবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। বিপুল ভোটে জিতে প্রতিদান ফিরিয়ে দেন দশরথ। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জন বার্লার কাছে হেরে যাওয়ার পরই রাজনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে এই চা বাগান শ্রমিকের রাজনৈতিক জীবনে। ক্রমশ শাসকদলের অন্দরে গুরুত্ব কমতে থাকে ওই আদিবাসী নেতার।

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পতাকা তুলে নেন তিনি। বারবার দল বদলে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ধাক্কা খায়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হোঁচট খাওয়ার পর ওই দলের এসসি–এসটি সেলের সহ–সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন দশরথ। তারপর থেকে রাজনীতির ময়দানে প্রাক্তন সাংসদকে আর সে ভাবে দেখা যাচ্ছিল না। হালে তাঁকে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে খবর।

    যদিও দশরথ বলেন, ‘৫৮ বছর বয়সে এসে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়েছি। বরং ধর্মকর্ম নিয়েই সময় কাটাতে ভালো লাগে। এ জীবনে মন্ত্রী থেকে সাংসদ, সব সম্মানই পেয়েছি।’ তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা হয় কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আগেও হয়েছে, এখনও হয়। তৃণমূল যে একটা খোলা হাওয়া আছে, বিজেপিতে তা কখনওই পাইনি। এখন দেখা যাক আগামীতে কী হয়।’ এই আদিবাসী নেতার সঙ্গে যে যোগাযোগ হয়েছে তা অস্বীকার করেননি জেলার তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘দশরথ সরল ও আমুদে মানুষ। রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন না। অন্য দলে গেলেও ওঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় আমার।’

  • Link to this news (এই সময়)