• সাহায্য চাওয়ার অছিলায় পুত্রবধূকে বেঁধে রেখে সর্বস্ব লুট
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৫


  • এই সময়, রায়গঞ্জ: সাহায্য চাওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকে পুত্রবধূকে বেঁধে রেখে সর্বস্ব লুট করে চম্পট দিলো দুষ্কৃতীরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ১২ নং বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট নারায়ণপুর এলাকায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও অধরা দুষ্কৃতীরা।

    জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরেও সন্তোষ মণ্ডল তাঁর স্ত্রী গৌরী এবং তাঁদের দুই ছেলে সঞ্জয় ও সজল জমিতে চাষের কাজ করতে যান। বাড়িতে তখন একা ছিলেন বড় ছেলের স্ত্রী বীথি। সে সময়ে অপরিচিত দুই ব্যক্তি বাড়িতে এসে অন্য কেউ আছে কি না, তা তাঁকে জিজ্ঞেস করে। বাড়িতে কেউ নেই বলে জানান বীথি। তখন দুষ্কৃতীরা নিজেদের অভাবের কথা বলে কিছু সাহায্য চান। তরুণী টাকা আনতে ঘরে ঢুকতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর মুখ-হাত, পা বেঁধে একটি ঘরে বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ।

    তারপর লুটপাট চালিয়ে চম্পট দেয়। বেশ কিছু সময়ের পর সজল বাড়িতে এসে দেখেন এই অবস্থা। বেশ কিছু সোনার গয়না ও আনুমানিক নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা বলে দাবি মণ্ডল পরিবারের। বীথি বলেন, ‘বাড়ির সবাই মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে দু’জন লোক এসে জিজ্ঞেস করে বাড়ির অভিভাবক কে। আমি বলি, কেউ নেই, সবাই কাজে গিয়েছে। তখন অভাবের কথা বলে কিছু ওরা সাহায্য চায়। আমি ঘরে গেলে ওরা আমার মুখ চেপে ধরে হাত-পা–মুখ বেঁধে দরজা বন্ধ করে দেয়।’

    গৃহকর্ত্রী গৌরী বলেন, ‘বেশ কিছু সোনার গয়না ও নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’ প্রতিবেশী জয়ন্তী সরকার বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা এই এলাকায় কোনওদিন হয়নি। আমরা আতঙ্কিত।’ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ভবানন্দ বর্মন বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে বলে আশা রাখি।’ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

  • Link to this news (এই সময়)