• ‘শিক্ষাবন্ধু’-র অফিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৫
  • ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। রাতে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’-র অফিসে আগুন লাগে।অভিযোগ ছিল, অফিসটিতে আগুন ধরানো হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এই ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী মহম্মদ সাহিল আলিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সাহিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। সাহিল গল্ফ গ্রিনের বিজয়গড়ের বাসিন্দা। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, অশান্তির দিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সাহিল। ক্যাম্পাসের মধ্যে কী করছিলেন এই প্রাক্তনী? তাঁর উদ্দেশ্যই বা কী ছিল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছিল  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অভিযোগ, আচমকা আগুন লাগে তৃণমূল কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১টি ইঞ্জিন। কী ভাবে এই আগুন লাগল? তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। 

    উল্লেখ্য, শনিবার তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ছিল ওপেন এয়ার থিয়েটার (ওএটি)-এ। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সামনে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরছিল এসএফআই, রেভোলিউশনারি স্টুডেন্ট ফ্রন্ট (আরএসএফ)-এর মতো ছাত্র সংগঠনগুলি। এসএফআই-এর দাবি ছিল, উপাচার্যের উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করতে হবে এবং ছাত্র নির্বাচনের দিন ঠিক করতে হবে।  ব্রাত্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার আগেই এসএফআই একটি মিছিল করে। আলাদা ভাবে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল আরএসএফ-ও। তাদের মিছিল নিয়ে আপত্তি করে ওয়েবকুপা এবং টিএমসিপি। আর সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। 

    শনিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত হন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মন্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। আহত হন ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক ছাত্রও। সোমবার রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক গিয়েছে এসএফআই।

  • Link to this news (এই সময়)