• যুবকের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়, ভুয়ো সিম ব্যবহারের ইঙ্গিত পুলিশের
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, মালবাজার: সন্দেহ শুরু হয়েছিল শুক্রবার রাতেই। জলপাইগুড়ির মালবাজার কলেজ লাগোয়া জাতীয় সড়কের ধারে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে বিশ্বজিৎ দত্ত (৩০) ওরফে রাজা জখম অবস্থায় পড়ে থাকলেও অক্ষত ছিল তাঁর মোটরবাইক। মাথার পিছনে গভীর ক্ষত। কী করে দুর্ঘটনা হলো তা জানার আগেই রাজার মৃত্যু হয়। বছর তিরিশের যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে মালবাজার শহরে। ঘেরাও করা হয় মালবাজার থানা। রাত একটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।

    বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে পরিবার। জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদ নিজেই তদন্তে নামেন। জানা যায়, ফোন করে রাজাকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল মালবাজার কলেজ লাগোয়া এলাকায়। সেই ফোন করা হয় ভুয়ো সিম থেকে। রাতেই পুলিশ জানতে পারে, সিমের মালিক আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। অভিযোগ পেয়ে আটক করা হয় ৬ জনকে। সব মিলিয়ে শুক্রবার রাতের পরে শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল মালবাজার শহরে।

    শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ মালবাজার কলেজ লাগোয়া জাতীয় সড়কের ধারে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের ভেতরে বিশ্বজিতকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পথচলতি কয়েক জন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাথায় ক্ষত, কানে হেডফোন অক্ষত মোটরবাইক দেখে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি জোরালো হয়। রাত এগারোটার পর মালবাজার থানাতেই খুনের ঘটনার দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়।

    মালবাজার শহর থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মেরেকেটে তিন কিলোমিটার। যদিও এলাকাটি মেটেলি থানার অন্তর্গত। ঘটনাস্থলে যান এলাকার কাউন্সিলার সুরজিৎ দেবনাথ। তাঁর দাবি, ‘তখনও বিশ্বজিৎ জীবিত ছিলেন। চেতনা কমে এলেও শ্বাসপ্রশ্বাস চলছিল। কিন্তু মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে নিথর হয়ে যান।’ জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ ) সমীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভুয়ো সিম ব্যবহারের ইঙ্গিত মিলেছে।’

  • Link to this news (এই সময়)