• ‘শিক্ষিত হলে গাড়ি চাপা পড়ার পরও সাক্ষাৎকার দেওয়া যায়’, খোঁচা যাদবপুরকাণ্ডে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মার্চ ২০২৫
  • শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি প্রায় পিষে দিয়েছিল ইন্দ্রানুজ রায়কে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করছে। এরই মাঝে ইন্দ্রানুজের গাড়ির সামনে পড়ে থাকার দৃশ্য সম্প্রচারিত হয়েছে খবরের চ্যানেলে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, ইন্দ্রানুজ আপাতত যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি। তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পড়ুয়ার বাঁ চোখ ও মাথায় আঘাত গুরুতর। এই ঘটনা নিয়ে শনিবার সংবাদমাধ্যমকে বেডে শুয়ে থেকেই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ইন্দ্রানুজ। আর তা নিয়ে এবার কটাক্ষের বাণ ছুঁড়তে শুরু করলেন তৃণমূল নেতারা। এই নিয়ে দেবাংশুর বক্তব্য, 'ওঁরা শিক্ষিত, ওঁরা সব পারে'। কুণাল ঘোষ আবার এক্সরে রিপোর্ট চেয়েছেন।



    যদবপুরে গাড়ি চাপা কাণ্ড নিয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য এই সোশ্যাল মিডিয়া লেখেন, 'গোটা স্কর্পিও গাড়ি বডির উপর দিয়ে চলে যাওয়ার পর আপনি ইন্টারভিউ দিতে পারবেন? ওরা পারে। কারণ ওরা শিক্ষিত।' এদিকে কুণাল ঘোষ নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'গাড়ির তলায় ভয়ঙ্করভাবে পিষে যাওয়ার এক্সরে রিপোর্টে কোনও ফ্র্যাকচার নেই। বিপ্লবী পোস্টদাতারা একটু রিপোর্টটা পোস্ট করবেন প্লিজ? তা না করে শুধু 'আমি সোমা বলছি'র মডেলে মিথ্যাচারের নাটক কতক্ষণ চলবে? গাড়িতে হামলা, কাচ ভাঙা, জাতীয় পতাকা খোলা, ঝুলতে থাকা, বেয়ে ওঠার অসভ্যতার মধ্যে কেউ নিজেই পড়ে যেতেই পারে। তারপর ভিকটিম কার্ড খেলে হামলা থেকে নজর ঘোরানোর নাটক চলতে পারে না।'


    এদিকে ঘটনা নিয়ে ইন্দ্রানুজ নিজে কী বলেছিলেন? শিক্ষামন্ত্রীর ‘গাড়ি চাপা’ পড়া পড়ুয়া জানান, ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে এলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে পড়ুয়াদের সঙ্গে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন। তখন ব্রাত্য বসুকে সবাই বৈঠকে বসার জন্য ঘিরে ধরে, তখন তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ও শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁর গাড়িতে তুলে দেয়। শিক্ষামন্ত্রী গাড়িতে উঠতেই গতি বাড়ায় চালক। আন্দোলনকারীরা অনেকবার তাঁকে থামতে বললেও নাকি গাড়ির গতিবেগ আরও বাড়ানো হয়। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন বহু পড়ুয়া। ধাক্কাধাক্কিতেই নাকি গাড়ির সামনে পড়ে যান ইন্দ্রানুজ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)