যাদবপুরকাণ্ডে দায়ের ৫ FIR, গ্রেফতার ১, এখনও থমথমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মার্চ ২০২৫
তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসুর যোগদান ঘিরে শনিবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছিল। একদিকে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি এক পড়ুয়াকে চাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অধ্যাপকদের সঙ্গে বাম এবং অতিবাম ছাত্রদের সংঘর্ষও বাঁধে। অধ্যাপক ওম প্রকাশ মিশ্রকে তাড়া করার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে নাকি শিক্ষামন্ত্রী জখম হয়েছিলেন। এদিকে সংঘর্ষে জখম পড়ুয়াদের দেখতে হাসপাতালে গেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এই সব মিলিয়ে রবিবার সকালেও থমথমে পরিস্থিতি যাদবপুর ক্যাম্পাসে। এই সব সংঘর্ষের জেরে সব মিলিয়ে পাঁচটি এফআইআর হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ভোররাতেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গভীর রাত পর্যন্ত জেনারেল বডির বৈঠকও হয় ক্যাম্পাসে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫টি এফআইআরের মধ্যে তিনটিই ওয়েবকুপার তরফে। ক্যাম্পাসে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে পড়ুয়াদের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সব অভিযোগ খতিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই আবহে ভোররাতে যাদবপুরের প্রাক্তনী সাহিল আলিকে পুলিশ মধ্যরাতে আটক করে। সাহিল DYSA এর কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জানা যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন 'শিক্ষাবন্ধু'র অফিসে আগুন লাগানো হয় লে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ জানা যায়নি। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তৃণমূলপন্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের অভিযোগ, এক দল দুষ্কৃতী তাঁদের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ১ মার্চ। সেখানে প্রথম থেকেই গেটে অবরোধ করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদের ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট দিয়ে ব্রাত্য বসু প্রবেশ করেছিলেন ক্যাম্পাসে। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ব্রাত্যকে ঘিরে ধরেন আন্দোলনকারীরা। বামপন্থী এবং অতি বাম ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় পাইলট গাড়ি। শিক্ষামন্ত্রী আহতও হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পালটা দাবি, মন্ত্রীর গাড়িতে চাপা পড়েছেন এক ছাত্র। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে ব্রাত্য বসুও এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অসুস্থ হয়ে। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।