যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অভিনব বসুর পায়ের উপর দিয়ে শনিবার এক অধ্যাপকের গাড়ির চাকা চলে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিনবের বাবা অমৃত বসু হাওড়ার সাঁকরাইল এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। অভিনব বাম রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। পায়ে আঘাত লাগার খবর তাঁকে তাঁর ছেলে জানাননি দাবি অমৃতর। তাঁর দাবি, করোনা পরবর্তী সময় থেকে ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। গুন্ডামি করতে নয়।’
শনিবার দুপুর থেকেই ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উতপ্ত হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছিল। আহত হন তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত হন বাম সমর্থিত সংগঠনের দুই ছাত্র নেতা। অভিযোগ ওঠে, অভিনবের পায়ের উপর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের গাড়ি চলে যায়। অভিনব সক্রিয় এসএফআই কর্মী বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তাঁকেও শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
অভিনব যাদবপুরের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তরের প্রথম বিভাগের ছাত্র। তিনি বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁর বাবা হাওড়ায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। ছেলে যাদবপুরের অশান্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ শুনে অক্ষেপের সুর বাবা অমৃত বসুর কণ্ঠে।
তিনি রবিবার বলেন, ‘ব্রাত্য বসুর উপরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। যে বা যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ করা হোক।’ এখানেই শেষ নয়, এই তৃণমূল নেতার সংযোজন, ‘ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ছেলে হস্টেলে থাকে। আঘাত পাওয়ার খবর পেয়েও আমি ওকে ফোন করিনি।’
আক্ষেপের সুরে অমৃত বসু দাবি করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামের জন্য তিনি ছেলেকে সেখানে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন অভিনব। যদি শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় ছেলেও যুক্ত থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁরও শাস্তি হোক, দাবি করেছেন অমৃত।