এই সময়: আগে মনে করা হতো, ডেঙ্গির আসল মরশুম শুরু হয় জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে, দাপট থাকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অসময়ে বৃষ্টি এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বছরভরই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
সে কারণে এ বার বছরের শুরু থেকেই যাতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় জেলাগুলি জোর দেয়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, শুরু থেকে নজরদারি চালালে রোগের প্রকোপ কমে। সেই লক্ষ্যেই শনিবার রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
ওই নির্দেশিকায় ডেঙ্গি রুখতে প্রশাসনের কী ভূমিকা হওয়া উচিত, সে কথা বিশদে জানানোর পাশাপাশি চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথাও বলা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, চলতি বছরের শুরু থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৪ জন।
ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে হাওড়া। ওই জেলায় ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৭০ জনের। দ্বিতীয় স্থানে মুর্শিদাবাদ। ওই জেলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৫১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪৫ জন। এর পরে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান (৩৬ জন) এবং মালদা (৩৩ জন)। গত বছরও মুর্শিদাবাদ ও মালদায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক।
এই সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে, রোগ মোকাবিলায় মাইক্রো-প্ল্যান তৈরি করতে হবে। খুঁজে বার করতে হবে ঠিক কোথায়–কোথায় জল জমে। প্রয়োজনে জমা জলের খোঁজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, বন্ধ বাড়ি, ফাঁকা জমিতে নজর বাড়াতে হবে। এই জায়গাগুলিই মশার অন্যতম আঁতুড়ঘর।
স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা বলেন, ‘জল জমছে কিনা তা দেখার জন্যে ফাঁকা জমির পাশাপাশি বাড়ি–বাড়ি সমীক্ষা জরুরি। মানুষকে সচেতন করার জন্যে প্রচারও শুরু হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত প্রচার চলবে।’ ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্যে সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।