• একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার অর্থ ভুয়ো ভোটার নয়, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল কমিশন
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৫
  • একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই তাঁরা নকল বা ভুয়ো ভোটার নন, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ব্যাখ্যা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, এপিক নম্বর এক হলেও, ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হয়। পাশাপাশি আরও স্পষ্ট করা হয়, এপিক নম্বর যাই হোক না কেন, একজন ভোটারকে যে কেন্দ্রে ভোট 

    দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তিনি কেবলমাত্র সেখানেই ভোট দিতে পারবেন। অন্যত্র নয়।  গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, একই এপিক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্য রাজ্যেও ভোটারের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। রাজ্য জুড়ে এই ধরনের ঘটনা চিহ্নিত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে কমিশনের এই ব্যাখ্যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। 

     কমিশন জানিয়েছে, দু'টি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অভিন্ন আলফানিউমেরিক সিরিজ় ব্যবহারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে একই এপিক নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয়। 

    কমিশনের সিদ্ধান্ত, কোনও রকম আশঙ্কা এড়ানোর জন্য নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। কারও ক্ষেত্রে যদি অন্য ব্যক্তির সঙ্গে একই এপিক নম্বর থাকে সেই ক্ষেত্রে তাঁকে অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করে তা সংশোধন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য ও সহায়তা করার জন্য ‘ERONET 2.0’ প্ল্যাটফর্ম আপডেট করা হবে বলেও জানানো হয়। 

    যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে পাল্টা দাবি করেন, ‘চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর কমিশন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল। এটা হলো কী করে, তার সদুত্তর নেই। সব ফাঁস হয়ে যেতে কমিশন কিছু পদক্ষেপ করবে বলেছে।’  তিনি আরও জানান, নেত্রীর নির্দেশ মতো স্ক্রুটিনির কাজ চলবে।



    উল্লেখ্য, নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে সেই জন্য একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার মানুষের ভোটটা বাইরের লোক এসে দিয়ে দেবে। বুঝতে পারছেন খেলাটা? আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে। আধার কার্ড ওদের হাতে। একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের জায়গায় হরিয়ানা, পাঞ্জাব, বিহারের নাম ঢুকিয়েছে। রেলে করে নিয়ে আসবে।'

  • Link to this news (এই সময়)