আগামী ৫ ও ৬ মার্চ গোরুমারার জঙ্গলে প্রবেশ নিষেধ পর্যটকদের। ওই জঙ্গলে গন্ডার শুমারির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর গন্ডার শুমারি হতে চলেছে গোরুমারার জঙ্গলে। আর সেই জন্য ৫ এবং ৬ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রায় ৬০টির মতো গন্ডার রয়েছে গোরুমারার জঙ্গলে। চলতি বছরে শুমারিতে আরও বেশি সংখ্যক গন্ডার পাওয়া যাবে বলে আশা বন দপ্তরের।
বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি গন্ডারের মৃত্যু হলেও কিছু নতুন গন্ডারের শাবক দেখা গিয়েছে গোরুমারার জঙ্গলে। ফলে গন্ডারের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। গোরুমারা, চাপড়ামাড়ির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি বনবিভাগের বেশ কিছু রেঞ্জের বনাঞ্চলেও এই গণনা চলবে বলে বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। বনকর্মীদের পাশাপাশি গোরুমারার কুনকি হাতিদেরও ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এই শুমারিতে অংশ নিতে চলেছে।
শুমারির জন্য ২ এবং ৩ মার্চ অর্থাৎ রবি এবং সোমবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বন দপ্তরের তরফে। রবিবার বনদপ্তরের তরফে গোরুমারার ধুপঝোড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোরুমারা ও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জের বনকর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরটির আয়োজন করা হয়।
গন্ডার শুমারির জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। গোরুমারার ডিএফও দ্বিজ প্রতিম সেন, জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডিএফও বিকাশ ভি-সহ অন্যান্যরা এ দিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, ৫ এবং ৬ তারিখ শুমারির জন্য জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। গোরুমারার ২৮টি কুনকি হাতিকে ব্যবহার করা হবে শুমারির কাজের জন্য।