এই সময়, গুপ্তিপাড়া: আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পিচের বস্তা ব্যবহার করে ভাঙন ঠেকানো গিয়েছে গুপ্তিপাড়ার বলাগড়ে। তার পরেই ভাঙন–বিধ্বস্ত গুপ্তিপাড়া ফেরি ঘাটকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন ভাবে। সেখানেই চলতি মাসের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হবে গঙ্গারতি।
পর্যটনের উন্নয়নে শনিবার প্রশাসনিক বৈঠক করেন বলাগড়ের বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস। ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাজী, গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা।
বলাগড় ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে মর্যাদা দিয়েই গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ফেরিঘাট লাগোয়া দু’বিঘা জমিকে নতুন ভাবে কাজে লাগানো হবে। সেখানে একদিকে রয়েছে শশ্মান ঘাট। দাহ করতে আসা শবযাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকবে ছোটদের বিনোদন পার্ক, পানীয় জলের ব্যবস্থা।
প্রবীণরা গঙ্গার ধারে সকাল–বিকেল ভ্রমণের ফাঁকে বসে বিশ্রামও নিতে পারবেন। এ ছাড়া গঙ্গার ঘাটে বসানো হবে শিব মূর্তি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেখানে গঙ্গারতি হবে। প্রায় দু’বিঘে জমি নিয়ে গঙ্গার তীরে তৈরি হওয়া বিশেষ ঘাট শুরু হলেই এলাকার উন্নতি হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, গঙ্গার ধারে শশ্মানে এমনিতেই সন্ধের পরে লোকজন কম যাতায়াত করেন। কিন্তু সেখানেই বিরাট এলাকা নিয়ে গঙ্গা–আরতি, ছোটদের পার্ক তৈরি হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। বিকল্প কর্মসংস্থান হবে।
বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অসীম মাজী বলেন, ‘রাজ্যে ৩৫০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। কিন্তু একমাত্র গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম, একটা প্রস্তুতি–বৈঠক করা হোক।
ব্লক প্রশাসন সন্মতি জানিয়ে এ দিন প্রশাসনিক বৈঠক করেছে।’ গুপ্তিপাড়া ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, ‘এ দিনের আলোচনায় ঠিক হয়েছে, বলাগড় ব্লকের বিভিন্ন দেবদেউল, দরগা, মন্দির, মসজিদ এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানগুলিকে নিয়ে পর্যটনের প্যাকেজ তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’