‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে হইচই রাজ্য রাজনীতিতে, শীতলকুচির ভোটার তালিকাতেও পাঁচ বাংলাদেশির নাম
আজকাল | ০২ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই। ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়েছেন, ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে প্রথম কাজ ভোটার তালিকায় নজর রাখা।
এই চর্চা আরও কয়েকগুন বাড়ল শীতলকুচির ঘটনায়। সূত্রের খবর, দেশ ছেড়ে চলে গেলেও এখনও ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে ৫ বাংলাদেশির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচি ব্লকের নলগ্রামে। কীভাবে ওই বাসিন্দাদের নাম এই তালিকায় উঠল, কেনই বা ওই নামগুলি বাদ দেওয়া হল না? প্রশ্ন উঠছে হাজার।
শীতলকুচির বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নলগ্রামে ভোটার তালিকায় থাকা নাজির হোসেন, নাজিরা বিবি, সফিকুল ইসলাম, সোয়েল রানা মিয়াঁ, রাহুল আমিন মিয়াঁ তাঁরা প্রত্যেকে বর্তমান বাংলাদেশি। একসময় বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নলগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মাইগ্রেশন করে বাংলাদেশে চলে যান। গ্রামের অনেকেই এই পাঁচ ভোটারকে চেনেন না বলেই জানা গিয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত তাদের নাম ভোটার তালিকায় রয়ে গেছে। এই বিষয়ে নজরে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
যদিও এবিষয়ে সফিকুল ইসলামের আত্মীয় মহাবুল ইসলাম জানান, ‘ভোটার লিস্টে নাম থাকা সফিকুল ইসলাম আমার কাকা হন। তিনি বাংলাদেশে থাকেন। সেখানকার বাসিন্দা হয়েছেন। এখানে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা স্থানীয় বিএলআরও-কে বলার পরেও নাম থেকেই গিয়েছে।’যদিও এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কোভির হোসেন বলেন, ‘ওই পাঁচ ভোটারকে আমি চিনি। ওঁরা একসময় এই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরা বাংলাদেশের বাসিন্দা হন। কিন্তু এখনও ভোটার তালিকায় ওঁদের নাম রয়ে গিয়েছে।‘
ঘটনা প্রসঙ্গে, স্থানীয় শীতল কুচি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপন কুমার গুহ বলেন, ‘এই বিষয় শুধু নলগ্রামে নয়, বিভিন্ন জায়গা শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়টি স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিদের বলা হয়েছে সকলেই তাঁদের নিজের অঞ্চলের ভোটার তালিকা গুলো দেখছেন এবং আগামী তিন তারিখ এই বিষয়ে দলীয়ভাবে একটি আলোচনা সভা রয়েছে সেখানে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।‘
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শীতলকুচির বিডিও সোফিয়া আব্বাস বলেন, ‘ওই পাঁচজনের নাম আগেই ভোটার তালিকায় ছিল। ভারতের নাগরিক হওয়ায় তাঁরা বিগত দিনে ভোট দিয়েছেন। গত কয়েক বছরে তাঁরা অবশ্য বাংলাদেশে থেকেছেন। সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না জানা নেই। গোটা বিষয়টি জানার জন্য সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলআরও-কে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’