মনোরঞ্জন মিশ্র: গ্রীষ্মকাল এলেই জলকষ্টে ভোগে পুরুলিয়াবাসী। প্রতি বছরই এই ছবি। ভরা গ্রীষ্মে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামাঞ্চলগুলিতে দেখা যায় তীব্র জলকষ্ট। বাদ যায় না শহর পুরুলিয়াও। গ্রীষ্মের মরশুমে পুরুলিয়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা যায় পানীয় জলের হাহাকার। চলে জলের দাবিতে পথ অবরোধ, আন্দোলন।
এবার কী হবে? দোরগোড়ায় তো প্রায় এসেই গেল গ্রীষ্মকাল। সেই ভাবনা আগেই ভেবেছেন ভুক্তভোগীরা। পুরুলিয়া শহর জুড়ে যাতে সেই জলকষ্টের ছবি এবারেও আর না দেখা যায়, তার আগাম ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন শহরবাসীরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, জলের জন্য মাস প্রতি শহরবাসীর কাছে নেওয়া হয় সংযোগ প্রতি ১০০ টাকা! এটি জলকর! তাই জলকর যখন নেওয়া হচ্ছে, তখন জলের স্থায়ী সমস্যার সমাধান হবে না কেন? তাই বহুদিনের পুরনো এই জল-সমস্যা মেটানোর দাবিতে এবার সরব হয়েছেন শহরবাসী। ওদিকে অশ্য জানা গিয়েছে, প্রখর গ্রীষ্মে শহর জুড়ে পানীয় জল সরবরাহ সচল রাখতে আগাম পদক্ষেপ করছে পুরুলিয়া পুরসভা। গ্রীষ্ম পড়তেই পুরুলিয়ার কংসাবতী নদীগর্ভ কার্যত জলশূন্য হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শহরে ২৩ ওয়ার্ডে গ্রীষ্মকালীন সময়ে পানীয় জলের স্থায়ী সমস্যা সমাধানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুরসভা।
পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান বলেন, শহর-লাগোয়া কংসাবতী নদী। রয়েছে সেই নদী-লাগোয়া তেলিডি ও শিমুলিয়া পাম্প হাউস। নদীগর্ভের ডিপ টিউবয়েল। এই সবগুলির সংস্কারের কাজ শুরু করার পাশাপাশি শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাইপ লাইন ও টিউবয়েলগুলিও সচল রাখার জন্য সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। জল অপচয় বন্ধ করার জন্য সচেতন করা হচ্ছে শহরবাসীকে। পুরসভার আশ্বাস সার হবে, নাকি এবার গ্রীষ্মে জলকষ্টের সেই পুরনো ছবিটা বদলাবে? এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।