সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে শনিবার নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। হামলার মুখে পড়তে হয় স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীকে! তিনি নিজেও আহত হয়ে এসএসকেএমে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এমন অশান্তিতে ব্রাত্য বসুর নিশানা করেন অতি-বামকে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরনোর সময় বাম ছাত্রদের পথ অবরুদ্ধের মাঝেই ব্রাত্যর গাড়ি এগোতে চাইলে একজন গাড়ির ধাক্কায় জখম হন বলে অভিযোগ ওঠে। রক্তাক্ত ওই ছাত্র এসএফআই সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। তা নিয়ে পালটা শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ায় এসএফআই। কিন্তু এমন একটা দুর্ঘটনা, অথচ আহতের এক্স রে রিপোর্টে কোনও চিড় নেই কেন? এই প্রশ্ন তুলে এদিন X হ্যান্ডলে বাম ছাত্রদের কার্যত খোঁচা দিলেন তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁদের ‘বিপ্লবী পোস্টদাতা’ বলে উল্লেখ করে এক্স রে রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আনার দাবি করলেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে পরপর দুটি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ আসলে দুই সময়কালকে ধরতে চেয়েছেন। একটি পোস্টে তিনি শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলা এবং তাতে ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে তাঁর নিশানায় এসএফআইয়ের ‘মিথ্যাচার’। যিনি শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছেন বলে বাম ছাত্র সংগঠন দাবি করছে, তাঁর এক্স রে রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আনার কথা পোস্টে উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সেইসঙ্গে আর জি করের ঘটনার সময় বামেরা কীভাবে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল, তাও জানান।
দ্বিতীয় পোস্টটিতে তিনি ১৯৯৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি জনসভার কথা উল্লেখ করেছেন সেসময়ের ছবি দিয়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী। তাঁকে ঘিরে প্রচুর মানুষ। এই ঘটনা সম্পর্কে বামেদের ব্যাখ্যা, আন্দোলনের নামে রাস্তায় নেমে মমতা সেসময় জয়প্রকাশ মজুমদারের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। অর্থাৎ বামেরা সেই ঘটনার সঙ্গে শনিবারের ঘটনার তুলনা এভাবেই করতে চেয়েছেন।
কিন্তু এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কুণাল ঘোষের দাবি, ”মিথ্যাচার বন্ধ করুন। বামেরা দিদির এই ছবি দিয়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ি বলে পোস্ট করছে। এসব ছাগলদের বলে রাখি-1) দিদি জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ির উপর কখনও ওঠেননি। 2) এই ছবিটি 1996 সালে আলিপুরের। গাড়িটি আমার ব্যবহারের ( সংবাদ প্রতিদিনের)। গাড়ির ভিতরে তখন কেউ ছিল না। সামনে বিপুল জনতা। যাতে সবাই দিদির কথা শুনতে পান, তাই উঁচু জায়গার দরকার ছিল। এর সঙ্গে কোনও গাড়িতে কোনো হামলার সম্পর্ক নেই।”