• লোন ১৫ কোটি, ট্যাংরার দে পরিবারের অ্যাকাউন্টে মাত্র…, ধারে ডুবেই কি মরণ-ছক?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মার্চ ২০২৫
  • ট্যাংরা কাণ্ডের দে পরিবারের দুই ভাইয়ের একের পর এক কীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে।  তদন্ত ক্রমশ এগোচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আর্থিক সংকটে একেবারে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল পরিবার। 

    টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে পারিবারিক ব্যবসাতে একের পর এক ক্ষতির জেরে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল দে পরিবার। এরপরই আর কোনও রাস্তা না পেয়ে গোটা পরিবারকে নিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। তিনজনকে খুন করে গাড়ি নিয়ে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা। কিন্তু বেঁচে গিয়েছেন তিনজন। প্রণয়, প্রসূন ও প্রতীপ। 

    প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে অন্তত ৬টা ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা মিলিয়ে ১৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছিল দে পরিবার। কয়েকজন মহাজনের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ধার নিয়েছিলেন আরও ৪ কোটি টাকা।  একেবারে বিপুল টাকা ধার নিয়েছলেন তারা। কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেল?

    এমনকী ট্যাংরার বাড়ি ও কারখানাও তারা বন্দক রেখেছিলেন। তবে বোলপুরে তাদের একটা সম্পত্তি রয়েছে। সেটা তারা শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেননি। পাশাপাশি দে পরিবারের কিছু অলঙ্কার ছিল। সেই অলঙ্কার কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৯ লাখ টাকা জোগাড় করেছিল দে পরিবার। সেই টাকা দিয়ে কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। 

    তবে এত টাকা ধার, এত আর্থিক সংকট, তারপরেও খরচের ক্ষেত্রে লাগাম টানতে চাইত না দে পরিবার। এমনটাই সূত্রের খবর। 

    দে ব্রাদার্স ট্রেড লাইসেন্সও রিনিউ করতে চাইতেন না।  এমনকী বোলপুরে সিল্কের শাড়ি আমদানির যে ব্যবসা ছিল সেটাও বন্ধ করা হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই এই সংকট মারাত্মক আকার নেয়। তবে একের পর এক ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট। তারপরেও আর্থিক ক্ষেত্রে খরচের ক্ষেত্রে লাগাম টানার চেষ্টা করেনি পরিবার। 

    প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জেরার সময় প্রসূণ পুলিশকে বলেছিল দুজনের কবজি কেটে দেওয়ার পরে তিনি প্রতীপকেও মেরে ফেলতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সময় তারা বাবা সামনে ছিলেন। তিনি এটা করতে দেননি। সেই সময় বেঁচে যায় প্রতীপ। 

    সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, এক আধিকারিকের কথায়, আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য় প্রমাণ রয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ছোট ভাই প্রসূনই তিনটি খুনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। তবে তার দাদা প্রণয়ও খুনগুলির পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত।

    এদিকে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, বাবা-কাকার পরিকল্পনা জানতে পেরেছিল কিশোরী। সেকারণে সে কিছুতেই পায়েস খেতে চায়নি। তবে তাকে মারধর করে পায়েস খাওয়ানো হয়। এমনটাই দাবি করেছে ওই কিশোর। সেকারণেই ওই কিশোরীর নাকের নীচে, ঠোঁটে ও শরীরে অন্যান্য জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    আসলে গোটা ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে খুন করা হয়েছে তিনজনকে। এরপরই সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে থাকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)