• ১১ জনের বাংলাদেশি দলকে কলকাতায় পাঠাচ্ছে ইউনুসের সরকার, বিলাসবহুল হোটেলে হবে বৈঠক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মার্চ ২০২৫
  • গঙ্গা ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ভারতে আসছে বাংলদেশের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেচ মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা থাকবেন সেই দলে। সব মিলিয়ে ভারতে ৫ দিনের সফরে আসছে বাংলাদেশি দলটি। এই সফরকালে কলকাতা এবং ফারাক্কাতেও যাওয়ার কথা বাংলাদেশের দলটির। এই নিয়ে দিল্লি থেকে নবান্নকে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


    উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে জল চুক্তি হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। এদিকে ২০২৪ সালে ভারত সফরে এসেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে গিয়েছিলেন হাসিনা। এরপরে অবশ্যে সেই দেশের মসনদে বসেছেন মহম্মদ ইউনুস। এই আবহে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে কী অবস্থান নেয়, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ মার্চ সোমবার বাংলাদেশের সেচ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদল কলকাতায় পৌঁছানোর পর ওই দিনই ট্রেনে ফারাক্কা যাবে। ৫ মার্চ তাঁরা ফারাক্কায় জলপ্রবাহসংক্রান্ত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখবেন বলে দাবি করা হয়েছে। তার আগে ৪ মার্চের সফরসূচি অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় হায়াত হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।


    এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশে তিস্তা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে চিন। সম্প্রতি রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার মাঝে তিস্তা রেলওয়ে সেতুসংলগ্ন চরে তিস্তা নদীর জলবণ্টন নিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এই আবহে ব্রিটেনে বসে বিএনপি নেতা তারেক রহমান আবার বয়ান দিয়েছিলেন, 'তিস্তায় ভারতের আচরণ অন্যায্য।' এহেন পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সম্প্রতি। এর জবাবে চিনা রাষ্ট্রদূত বললেন, 'তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চিন প্রস্তুত আছে।' এরই সঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, 'তিস্তা প্রকল্প হলে তা কীভাবে বাস্তায়িত করা হবে, তা নিয়ে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে।'


    এদিকে সাম্প্রতিক চিন সফরে যে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, তা ঢাকায় ফিরে নিজেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এর আগে ২০২৪ সালে হাসিনা জমানায় তিস্তা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল চিন। এদিকে দিল্লি সফরে এসে মোদী সরকারের থেকেও এই তিস্ত প্রকল্প নিয়ে প্রস্তাব পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশ ফিরে হাসিনা বলেছিলেন, দুই দেশের প্রস্তাবই খতিয়ে দেখা হবে। তবে এখন ঢাকার মসনদে শেখ হাসিনা নেই। এই আবহে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটে, তার দিকে নজর থাকবে কূটনৈতিক মহলের। উল্লেখ্য, ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের কাছেই সীমান্ত পারে তিস্তার ওপরে চিন একটি বাঁধ তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০২০ সালেই নাকি সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঢাকাকে। তবে বাংলাদেশ নাকি সেই প্রস্তাবে এখনও সায় দেয়নি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)