যাদবপুরের ঘটনায় এ বার সরব বিশ্ববিদ্যালয়েরই মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত সেই ছাত্রের বাবা। ২০২৩ সালের সেই ঘটনা এখনও টাটকা সকলের স্মৃতিতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠেছিল র্যাগিং তত্ত্ব। শনিবার যাদবপুরের ঘটনায় মুখ খুললেন মৃত ছাত্রের বাবা। ওই ছাত্রের বাবার দাবি, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা জগতের কলঙ্ক।’ তিনি আরও জানান, এখানে কেউ শৃঙ্খলা মানে না। প্রশ্ন তোলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি পড়াশোনার জায়গা নাকি উচ্ছৃঙ্খলতা করার জায়গা?’ জানান, এই ‘উচ্ছৃঙ্খলতা’ই ২০২৩ সালে তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল তাঁর সন্তানকে।
২০২৩ সালের অগস্ট মাস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার ওই ছাত্রের। বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিল সে। এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের তত্ত্ব সামনে আসে। গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। তাঁর মা জানিয়েছিলেন, ছেলের স্বপ্ন ছিল যাদবপুরে পড়বে। সেই পড়তে আসাই কাল হয়। চিরতরে ছেলেকে হারাতে হয় মা-বাবাকে। সেই যাদবপুরে শনিবার শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে বাম ও অতি বাম সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতেই এক ভিডিয়ো মেসেজে মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘আজ যে ঘটনা ঘটেছে, কোন ভরসায় মানুষ তার সন্তানকে সেখানে পড়াতে পাঠাবে? ওটা কি পড়াশোনা করার জায়গা নাকি উচ্ছৃঙ্খলতা করার জায়গা? আজ রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে যে আচরণ হয়েছে, অধ্যাপকদের মারধর করা হয়েছে। যাদবপুরের এই উচ্ছৃঙ্খলতারই বলি আমার সন্তান। এই উচ্ছৃঙ্খলতার জন্যই আমাদের সন্তানকে হারাতে হয়েছে। প্রতিটা দিন, রাত হাহাকার করে কাটাতে হচ্ছে আমাদের। যাদবপুর আমার হারানো সন্তানকে ফেরাতে পারবে? ওরা যা করছে তাতে আবার একটা সন্তান যদি মারা যায়, তার দায় কে নেবে? বাংলার শিক্ষার ইতিহাসে যাদবপুর কলঙ্কের অধ্যায়। ধিক্কার জানাই আমি।’