জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুরকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। 'যাদবপুরে আমি আবার যাব, দেখি ওরা কী করতে পারে', পাল্টা হুশিয়ারি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, 'এটা হতে পারে না গণতন্ত্রে যে, আমার রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্য়ালয়, আমরা কেউ ঢুকতে পারব না ওখানে'।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন তুমুল বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর গাড়ি নাকি পিষে দিয়েছে এক পড়ুয়াকে! গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি তুলেছে বামেদেরা। জি ২৪ ঘণ্টাকে ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমার ড্রাইভার ভয় পাচ্ছিল, কারণ তাঁর সামনের কাঁচটা ফাটিয়ে দেওয়া হল। তারপর আমরা বাঁ পাশের কাঁচটা ফাটিয়ে দেওয়া হল। এবার ড্রাইভারের ডানদিকে যে স্ক্রিনটা, ঘুসি মারা শুরু হল। ও তখন ভয় পেয়ে ব্রেক কষে ও বেরিয়ে যায়, তখন ওই ছাত্র ছিটকে পড়ে'। তাঁর প্রশ্ন, 'আমায় গ্রেফতার করলে কি ওরা শূন্য থেকে ওরা এক হবে?
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের পাল্টা কটাক্ষ, 'গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা হল, পিষে চলে গেল, সেসময় গ্রেফতার করে পরীক্ষা করা উচিত ছিল, সে নেশা কী নিয়েছিল। নেশা না থাকলে এত মিথ্যা বলতে পারে না! মিথ্যা বলে, কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে গেল, আক্রান্ত হয়ে গেল! কে আক্রমণ করল? কোথায় আঘাত লাগল? একটা ফ্যাশন হয়েছে. কিছু ঘটনা ঘটলেই হাসপাতালে চলে যেতে হবে'।
এদিকে যাদবপুর কাণ্ডে নতুন করে আরও ২ FIR দায়ের করেছে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে যাদবপুরেরই প্রাক্তনী মহম্মদ শাহিল আলিকে। সেলিম বলেন, পুলিস না চোর, বুঝতে পারছি না। চোর-পুলিস খেলছে কেন! সবাই জানে যে কীভাবে ওরা মিথ্যাচার করছে। মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরাও হাইকোর্টে যাব। FIR নিতে চায়নি, বয়ান নিতে চায়নি। যাকে গাড়িতে পিষে মারছিল, পুলিস তার বয়ান নিল না। যা নাটক করছে, নকল যা কথা বলছে, সেগুলি বিশ্বাস করা হচ্ছে"!
ঘটনাটি ঠিক কী? গতকাল, শনিবার তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বৈঠক ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। সেই বৈঠক শেষে যখন বেরোচ্ছিলেন, তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্য়রা। ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, একসময়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাকা খুলে নেন বিক্ষোভকারীরা! ভাঙচুর চলে গাড়িতে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News