‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণের কাজ কতদূর? সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে লক্ষ্মীবারে বৈঠকে তৃণমূল
প্রতিদিন | ০৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৎপর নেতাকর্মীরা। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে জোরকদমে। ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন ফিরহাদ হাকিম থেকে উদয়ন গুহরা। এই সংক্রান্ত কাজ কতদূর এগোল তা খতিয়ে দেখতে এবার বৈঠকে বসতে চলেছে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কমিটি। আগামী ৬ মার্চ তৃণমূল ভবনে হবে বৈঠক। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের প্রত্যেক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যানরা। ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়, সেদিকে নজর সকলের।
প্রথমবার রাজ্য বিধানসভায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা বৈঠকের মঞ্চ থেকেও একই ইস্যুতে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। সদ্য নিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের সকলেই ‘বিজেপির লোকজন’। এছাড়া ‘ভূতুড়ে’ ভোটার কার্ড নিয়েও ওইদিন ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ‘আশীর্বাদে’ ভোটার তালিকায় গরমিল করা হচ্ছে। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে কমিটিও গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ওই কমিটিতে রয়েছে দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী ১০ দিনের ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণের ডেডলাইন বেঁধে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনে। এদিকে, মমতার বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠিও লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হতেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। কমিশনের দাবি, দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁদের ভুয়ো ভোটার বলা যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য একাধিক শর্তের মাধ্যমে দুই ভোটারকে আলাদা করা সম্ভব। কমিশন এই বিবৃতি দিতেই পালটা প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূলও। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল।’ তাঁর আরও দাবি, ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাছতে দলে স্ক্রুটিনি কাজ যেমন চলছিল, তেমন চলবে।