• ‘একজন ছাত্রের উপর হামলা হলে…’, যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে ‘আগুন জ্বালানো’র হুঙ্কার সেলিমের
    প্রতিদিন | ০৩ মার্চ ২০২৫
  • রমেন দাস: বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি ছিল শুধুমাত্র দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করুন শিক্ষামন্ত্রী! শনিবার তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাত্য বসুকে হাতের নাগালে পেয়ে সেই দাবিতেই সরব হন তাঁরা! কিন্তু তা থেকেই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়, নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী থাকে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসএফআই-এর দাবি, শনিবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখানোর সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি নাকি তাঁদের উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তখন গাড়ির সামনে পড়ে আহত হন দুজন ছাত্র। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার যাদবপুরে বিশাল মিছিল করল সিপিএম। মিছিল থেকে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের হুঙ্কার, ”একজন ছাত্রের উপরও যদি হামলা হয়, সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে।” শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা।

    শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডগোলের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন দুই ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায় এবং অভিনব বসু। অভিনব বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা, ইন্দ্রানুজ আরএসএফ নেতা। এঁদের মধ্যে ইন্দ্রানুজের আঘাত বেশি, তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। রবিবার তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন এসএফআই-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।

    পূর্ব ঘোষণা মতো শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে যাদবপুরে একটি মিছিলে শামিল হয় সিপিএম। নেতৃত্বে ছিলেন মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্যরা। মিছিল শেষে পথসভায় প্রচুর জনসমাগম দেখা যায় যাদবপুর থানার সামনে।

    সেখান থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরাসরি নিশানা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ব্রাত্যকে ‘নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি’ বলে কটাক্ষ করে পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেলিমের কথায়, ”চাকা ঘুরবে, যখন চাকা ঘুরবে, তখন শুধু ব্রাত্য নয়, এই দালাল পুলিশকেও দেখে নেওয়া হবে।” মীনাক্ষীর হুঙ্কার, ”বুকের পাটা থাকলে ব্রাত্য বসুকে গ্রেপ্তার করে দেখান।” সোমবার, ৩ মার্চ রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে এসএফআই। তবে রাজ্য সচল রাখতে তৎপর পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)