সুজাতা ওই সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, 'আমি কিন্তু কোনও অব্যবস্থার সম্মুখীন হইনি। এটা আমার পরম সৌভাগ্য। কিছু মানুষ পূণ্য অর্জন করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন এটা দুঃখজনক ঘটনা। ৭০ কোটি মানুষের মধ্য়ে যেটা হয়েছে সেটা দুঃখজনক ঘটনা। কোনও খারাপ ব্যবস্থা, দুর্গন্ধ বা অন্য কিছুর মুখোমুখি হইনি। আমি এখানে রাজনীতি করতে চাইনা। কোনও আক্রমণ বা রাজনৈতিক কোনও প্রশংসা করতে চাই না। একজন সনাতনী মানুষ হিসাবে খুব ভালো অনুভূতি হয়েছে আমার। আমার পরিচিত মানুষেরও ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচুর মানুষ, পদাধিকাররা তাঁরাও তো ভালো অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আমি নাম করছি না। বলছিলেন মহাকুম্ভে গিয়েছি। স্নান করেছি। এমনকী কেউ তো মৌনি অমাবস্যাতেও গিয়েছিলেন। তারা অনেকে জল নিয়ে এসেছেন। কেউ হয়তো ছবি পোস্ট করেননি। প্রচুর মানুষ গিয়েছেন। কর্মী থেকে নেতৃত্ব পর্যন্ত। দলের তরফেও তো বলা হয়নি। মাননীয়া নেত্রী তিনি নিজেও একজন ধার্মিক মানুষ। তিনিও তো কাউকে বারণ করেননি যে মহাকুম্ভে না যেতে। তা সত্ত্বেও যারা লুকোচ্ছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।'
কার্যত মহাকুম্ভের ব্যবস্থপনা নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ নেই তাঁর। একেবারে খোলাখুলি নিজের মতামত জানালেন তিনি। একদিকে তৃণমূল নেত্রী যখন কুম্ভের ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছিলেন তখন একেবারে অন্য সুর সুজাতা মণ্ডলের গলায়।
একাধিকবার তিনি মহাকুম্ভের অব্যবস্থার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। একবার তিনি বলেছিলেন, যদি বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হয়, তাহলে বাড়তি খাবারের বন্দোবস্ত করতে হয়। ৪০০ জনকে নিমন্ত্রণ করলে ৫০০ জনের খাবারের বন্দোবস্ত করে রাখাটাই হল সিস্টেম। ধর্মীয় উৎসবের ক্ষেত্রেও সিস্টেম অনুসরণ করে চলতে হবে। করতে হবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
এদিকে মমতার বক্তব্যের ৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই পুরো অংশটিজুড়ে এবারের মহাকুম্ভের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হতে শোনা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
মমতা বলেছিলেন, 'মহাকুম্ভ আমি নাই বা বললাম, ওটা মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে! মৃত্যুকূপের মতো! আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি। আমি শ্রদ্ধা জানাই। পবিত্র গঙ্গা মাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু, প্ল্যানিং না করে এত হাইপ তুলে, এত লোকের মৃত্যু! বললেন ৩০ জন। কথাটা কি সঠিক? কত জনকে ভাসিয়ে দিয়েছেন নদীতে? কত? হাজার হাজার!'