নাদনঘাট চাঁদপুর জিএসএফপি স্কুলে প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদ্যাপন
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, কালনা: রবিবার নাদনঘাটের চাঁদপুর জিএসএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে প্ল্যাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক দেবাশিস নাগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক, পঞ্চায়েত প্রধান রীতা দেবনাথ, প্রধান শিক্ষক তাপস মণ্ডল প্রমুখ। এদিন সকালে স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রী এবং এলাকার শুভানুধ্যায়ীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গ্রাম পরিক্রমা করে। সারাদিন ধরে চলে ছাত্রছাত্রীদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা, নাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই উৎসবকে ঘিরে এদিন সকলের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা।
স্বাধীনতার পরপরই নাদনঘাট থানার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের চাঁদপুর এলাকায় শিক্ষার প্রসারে স্কুল গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়। স্কুল তৈরি করতে স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষেত্রমোহন নাথ এক বিঘা জমি দান করলেন। ১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে টিনের ছাউনির নীচে এভাবেই চাঁদপুর জিএসএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হল। পঠনপাঠন ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সাফল্যে এই স্কুল আজ এলাকার গর্ব হয়ে উঠেছে।
স্কুলে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণির মোট ১৮৬জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। রয়েছেন ৬জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। মনোরম পরিবেশে পঠনপাঠনের পাশাপাশি রয়েছে পানীয় জল, শৌচাগার ও মিড-ডে মিলের রান্নাঘর। এদিন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পড়ুয়াদের জন্য মেনুতে ছিল ফ্রায়েড রাইস, কাশ্মীরি আলুর দম, চাটনি, পাপড় ও মিষ্টি।স্কুলের সহ শিক্ষক তথা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অনিল দাস বলেন, এই স্কুল এলাকার গর্ব। অনেক অর্থবান ব্যক্তি নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে না পাঠিয়ে এখানে ভর্তি করেন। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ সন্তানের মতো পড়ুয়াদের প্রতি নজর রাখেন। এদিন মন্ত্রী স্বপনবাবু আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, দাদুর হাত ধরে এই স্কুলে এসে জীবনে প্রথমবার আবৃত্তি পাঠ করেছিলাম। এলাকার বহু পরিচিত রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি। তখন স্কুলের এত শ্রীবৃদ্ধি হয়নি। প্রাথমিক স্কুলে আসা-যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের জুতো, ভালো পোশাক, বই-খাতা কেনার ক্ষমতা ছিল না। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষার প্রসারে বই, খাতা, ব্যাগ সহ মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করেছেন। উচ্চ শিক্ষায় পড়ুয়াদের সবুজসাথী সাইকেল, বিভিন্ন স্কলারশিপ, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ একাধিক প্রকল্প এনেছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।-নিজস্ব চিত্র