নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: পাঁচ দিন পার, দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীর টাকা লুট কাণ্ডে এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। বুধবার দুপুরে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার থেকে ব্যবসায়ীর স্কুটির ডিকি খুলে দুষ্কৃতীরা লুট করেছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। তারপর দুর্গাপুরে একাধিক পুলিস ফাঁড়ির অফিসাররা তদন্ত শুরু করলেও দুষ্কৃতীদের কোনও হদিশ পাননি। দুষ্কৃতীরা একটি কালো পালসার বাইক লুটের কাজে ব্যবহার করে। পুলিস সেই ঝাড়খণ্ডের বাইকের নম্বর ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এখন জানা গিয়েছে, নম্বর প্লেটটিই ভুয়ো ছিল। এরপরই পুলিস অভিযুক্তর ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠিয়েছে। অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকিয়েও তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন, দুষ্কৃতীরা যে বাইকটি ব্যবহার করেছিল তার নম্বর প্লেটটি নকল। আমরা তা নিশ্চিত হয়েছি। তাঁদের খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।
দুর্গাপুরের ধুনুরা প্লটের ব্যবসায়ী বিকাশ গরাইয়ের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। এটিএমের টাকা ভরার এজেন্সির কাজও তিনি করেন। বহু টাকার লেনদেন থাকা এই ব্যবসায়ীকেই টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। বুধবার দুপুরে তিনি ভিড়িঙ্গি কালীমন্দিরের কাছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তোলেন। টাকা তুলে একটি কালো ব্যাগে ভরে স্কুটির ডিকিতে ঢুকিয়ে রাখেন। এরপর নাচন রোডের উপরই একটি দোকান থেকে ওষুধ কেনার সময় ওই লুটের ঘটনা ঘটে। মাস্টার কি দিয়ে স্কুটির ডিকি খুলে টাকা লুট করে এক দুষ্কৃতী। ব্যবসায়ী ওই দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করলেও তাকে পালসার বাইক নিয়ে আসা এক আরোহী তুলে নেয়। সেই বাইকের সূত্র ধরেই প্রথমে পুলিস অভিযুক্তদের খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিস তদন্ত করে জানতে পারে বাইকে থাকা ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেটটি ভুয়ো। এরপরই তদন্তের মোড় নেয় ব্যান্ডেল গ্যাংয়ের দিকে। দুর্গাপুরে এর আগেও অপারেশন চালিয়েছিল এই গ্যাং। ওই গ্যাংয়ের দুষ্কৃতীদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে পুলিস। সেখানকার পুলিসকে ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। পুলিস এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ সহ অন্যান্য কেপমার গ্যাংয়েরও খোঁজ নিচ্ছে। পুলিসের দাবি, দুষ্কৃতীদের বাড়ির খোঁজ পর্যন্ত পুলিস পেয়ে গিয়েছে। যদিও গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তাঁরা। পুলিসের দাবি, দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি লুট হওয়া টাকা উদ্ধার করাও চ্যালেঞ্জ পুলিসের কাছে। এখন দেখার কবে এই লুটের ঘটনার কিনারা করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। ব্যবসায়ী বিকাশ গরাই বলেন, পুলিস যেন দ্রুত দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে আমার টাকা উদ্ধার করতে পারে। এই আশাই করছি। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার।-নিজস্ব চিত্র